Kolkata: একবালপুরে চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসককে মারধর পরিজনদের

একবালপুরের (Ekbalpur) সিএমআরআই (CMRI Hospital) হাসপাতালে চিকিত্সার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর (Pregnant Lady Died) অভিযোগে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। চিকিত্সককে চড়, থাপ্পড় মারে মৃতের আত্মীয়রা। পুলিশের উপস্থিতিতেই চড়, থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ, তারা বহিরাগত ঢুকিয়ে মৃতের আত্মীয়দের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

গর্ভবতী (প্রতীকী ছবি: IANS)

একবালপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি: একবালপুরের (Ekbalpur) সিএমআরআই (CMRI Hospital) হাসপাতালে চিকিত্সার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর (Pregnant Lady Died) অভিযোগে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। চিকিত্সককে চড়, থাপ্পড় মারে মৃতের আত্মীয়রা। পুলিশের উপস্থিতিতেই চড়, থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ, তারা বহিরাগত ঢুকিয়ে মৃতের আত্মীয়দের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃত মহিলার নাম পিঙ্কি ভট্টাচার্য। বয়স প্রায় ৩০ বছর। হাওড়ার তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা। প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমিনপুরের সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বুধবার সকালে সিজার করে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছিল হাসপাতালের তরফে। এমনকি বিকেলে পিঙ্কির সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন আত্মীয়রা। আরও পড়ুন, প্রয়াত কাট, কপি-পেস্টের উদ্ভাবক লরি টেসলার

পিঙ্কির পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতাল থেকে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মৃত্যু হয়েছে পিঙ্কির। পরিবার অভিযোগ করে, ঘুমের ওষুধের অতিরিক্ত ডোজের জন্যই মৃত্যু হয়েছে পিঙ্কি ভট্টাচার্যর। বাড়ির তরফে হাসপাতালের বিরূদ্ধে এফআইআর করা হয় একবালপুর থানায়। আলিপুর থানতেও অভিযোগ জানানো হয়। সকালেই সিএমআরআই হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, আইসিইউ-তে এসে তাঁরা দেখেন কোনও চিকিৎসক ছিল না সেখানে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি হাসপাতালও।