Nabanna Abhjaan Update: নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মীর মৃত্যু, ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাম কংগ্রেসের নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া DYFI কর্মীর মৃত্যু হল। মৃতের নাম মইদুল ইসলাম মিদ্দা। তিনি বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক মইদুলের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ডোরিনা ক্রিসংয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মক জখমহন ওই DYFI কর্মী। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাঠির আঘেতে পেশী ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি। সমস্ত প্রোটিন এসে কিডনি ব্লক করে দেয়। ১৩ তারিখে কিডনি ফেলিওর হয়।

বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র ডোরিনা ক্রসিং

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাম কংগ্রেসের নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া DYFI কর্মীর মৃত্যু হল। মৃতের নাম মইদুল ইসলাম মিদ্দা। তিনি বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক মইদুলের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ডোরিনা ক্রিসংয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মক জখমহন ওই DYFI কর্মী। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাঠির আঘেতে পেশী ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি। সমস্ত প্রোটিন এসে কিডনি ব্লক করে দেয়। ১৩ তারিখে কিডনি ফেলিওর হয়। এরপর ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। ১৪ তারিখ রাতে অবস্থার কিচুটা উন্নতি হলেও সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মইদুল। আরও পড়ুন-Weast Bengal Weather Update: প্রেমদিবসে বাড়ল ঊষ্ণতা, সরস্বতীপুজোর আগেই উধাও শীত

ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুলিশে লাঠির ঘায়ে আহত হওয়ার পর মইদুল ইসলাম মিদ্দাকে যখন হাসপাতালে আনা হচ্ছিল তখন তাঁর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও হয়। এই প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন মইদুল। রবিবার রাতে মইদুলের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকালে মারা যান তিনি। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ করারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ছাত্র-যুবদের বিরুদ্ধে সরকারের এমন আক্রমণ আগে কখনও ঘটেনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি চারদিক থেকে রাস্তা আটকে ছাত্র-যুবদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা পরের কথা। এ তো জীবন্ত মানুষকে লাশ বানাচ্ছে সরকার।”

বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের মিছিলে লাঠিচার্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছিল বামফ্রণ্ট। ১১ তারিখ বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ব্যাপক অশান্তি ছড়ায়। অভিযান রুখতে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড ছাড়া ধাতব শিল্ড সহ মোতায়েন করা হয়েছিল পর্যাপ্ত পুলিশ ও RAFF। সেদিন প্রায় ৪ হাজার পুলিশ দুর্গের প্রাচীরের মতো ব্যারিকেড গড়ে তুলেছিল। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে আসতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এরপরই শুরু হয় গন্ডগোল। বাধার মুখে পড়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। শেষপর্যন্ত মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে DYFI।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now