Winter In West Bengal: ঘূর্ণিঝড় নিভারের কাঁটায় জমেছে মেঘ, বাংলা থেকে উধাও মরশুমের প্রথম শীত

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ রূপ নিয়ে নিভার (Cyclone Nivar) মমল্লাপুরম এবং কারাইকলের মাঝে আছড়ে পড়তে চসেছে। কালে কালে ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধ করছে এই মরশুমের চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্য়েই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তামিলনাড়ু অন্ধ্রপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুদুচেরির অবস্থাও একই রকম। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছিল মুষলধারায় বৃষ্টি। বুধবার তার গতি বেড়েচে। সাতসকালেই সন্ধ্যার অন্ধকারে ঢেকেছে তামিলনাড়ু। ৩১২ জনকে ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে।

কলকাতার বৃষ্টির ফাইল ছবি।(Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ২৫ নভেম্বর: আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের’ রূপ নিয়ে নিভার (Cyclone Nivar) মমল্লাপুরম এবং কারাইকলের মাঝে আছড়ে পড়তে চসেছে। কালে কালে ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধ করছে এই মরশুমের চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্য়েই আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তামিলনাড়ু অন্ধ্রপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়। পুদুচেরির অবস্থাও একই রকম। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছিল মুষলধারায় বৃষ্টি। বুধবার তার গতি বেড়েচে। সাতসকালেই সন্ধ্যার অন্ধকারে ঢেকেছে তামিলনাড়ু। ৩১২ জনকে ইতিমধ্যেই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। মোট ৭৭টি ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নিভারের ক্ষয়ক্ষতির থেকে বাঁচতে তামিলনাড়ু, ও পুদুচেরি উপকূলে মোতায়েন হয়েছে ১২০০টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আরও ৮০০টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে তাদেরও মোতায়েন করা হবে উপদ্রুত এলাকায়। তামিলনাড়ুতে বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। মানুষ যেন কোনওভাবেই আজ বাড়ির বাইরে না যায়, তার সতর্কবাণীও প্রচার চলছে ক্রমাগত। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে আজ বুধবার থেকেই বাংলার আকাসে শুরু হয়েছে মেঘের আনাগোনা। শীতের রোদ্দুর যেন কোথায় ঢাকা পড়েছে। মঙ্গলবার আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্যারাকপুরের পারদ ছিল ১২.৭ ডিগ্রিতে। আলিপুরের হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। শনিবার থেকে আবার তাপমাত্রা কমবে।বৃহস্পতিবার থেকে মেঘের আস্তরণ পুরু হতে শুরু করবে। ফলে নভেম্বরে যে শীতটা এই দুদিন পড়েছিল তা ফের উধাও হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড় ভ্রূকুটি না থাকলে হয়তো মাসের শেষদিন কটিতেও থাকতো শীতবুড়োর প্রকোপ। তবে সেই আশায় আপাততছাই পড়ল। আরও পড়ুন-Cyclone Nivar: তুমুল বৃষ্টিতে অন্ধকার, বুধবারেই তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়তে চলেছে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় নিভার

এখন বঙ্গবাসীকে ডিসেম্বরের শীতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। গত ২দিনে করোনাকালকে তুচ্ছ করে শীতের কলকাতা সবে কম্বল মুড়িয়ে রাত যাপনে অংশ নিয়েছিল। ফের তাতে পড়ছে ছেদ। তবে এই দুদিনে গোটা দক্ষিণবঙ্গই সময় মতো সোয়েটার লেপের ওম নিয়ে বেশ শীত উপভোগ করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। শুধু শহর কলকাতাই নয় শহরতলিতেও পড়েছে ঠান্ডা। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু মানুষ। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে ঠান্ডা পড়েছে জাঁকিয়ে। পানাগড়ে তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার মঙ্গলবার তাপমাত্রা নামল ১৫.৪ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এদিন আবার উত্তুরে হাওয়াকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।