Coronavirus In Kolkata: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছেলে, রাইটার্সে বন্ধ করা হল আমলার অফিস

নবান্নর পর এবার রাইটার্স বিল্ডিং। রাজ্য সরকারের যে আমলার (Officer) ছেলে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত তাঁর একটি অফিস ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ে (Writers' Building)। রাইটার্সের তিনতলায় বসতেন ওই আমলা। সেই ঘর বন্ধ করে দেওয়া হল। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ভিজিটর্স ঢোকাও বন্ধ হল। এমন কী তাঁর অফিসের কর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হল ছুটিতে। এনিয়ে এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাইটার্সে। জানা যাচ্ছে, ছেলে লন্ডন থেকে ফেরার পর সোমবার তিনি আসেন রাইটার্সে তাঁর অফিসে। যান নবান্নেও। সেখানে ষষ্ঠতলায় ৫১১ নম্বর ঘরে তিনি বসতেন। সেই ঘরও বন্ধ করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে আজ সকাল থেকে। শুধু তাই নয়, নবান্নের বিভিন্ন তলের লিফটগুলিকেও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।

রাইটার্স বিল্ডিং (PHOTO: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৮ মার্চ: নবান্নর পর এবার রাইটার্স বিল্ডিং। রাজ্য সরকারের যে আমলার (Officer) ছেলে করোনাভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত তাঁর একটি অফিস ছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ে (Writers' Building)। রাইটার্সের তিনতলায় বসতেন ওই আমলা। সেই ঘর বন্ধ করে দেওয়া হল। রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ভিজিটর্স ঢোকাও বন্ধ হল। এমন কী তাঁর অফিসের কর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হল ছুটিতে।  জানা যাচ্ছে, ছেলে লন্ডন থেকে ফেরার পর সোমবার তিনি আসেন রাইটার্সে তাঁর অফিসে। যান নবান্নেও। সেখানে ষষ্ঠতলায় ৫১১ নম্বর ঘরে তিনি বসতেন। সেই ঘরও বন্ধ করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে আজ সকাল থেকে। শুধু তাই নয়, নবান্নের বিভিন্ন তলের লিফটগুলিকেও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।

১৮ বছর বয়সী ওই যুবক লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রবিবার তিনি দেশে ফেরেন। ওই যুবককে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। বাড়ি ও অন্য জায়গায় যান। ১৬ মার্চ তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ডেপুটি সুপার ও অন্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ ফেরান। তাঁর মা নবান্নে গেছিলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগও দিয়েছিলেন, অনেকের সঙ্গে দেখাও করেন। তিনিও এমন লোকদের সাথে দেখা করেছিলেন, যাঁদের এখন খোঁজ চলছে। আরও পড়ুন: Coronavirus In Kolkata: করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গুজব ছড়ালে আইনানুগ ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি কলকাতা পুলিশের

করোনাভাইরাসে যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর পরিবাররে ছয় সদস্যকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সুপার অনিমা হালদার (Anima Halder) বলেন, ‘‘ওই যুবকের বাবা, মাসহ মোট ছ’জন এখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আপাতত তাঁদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’