Coronavirus Cases in West Bengal: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪, মৃত্যু বাড়েনি বলে জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যেও। তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা খুবই কম। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। তবে বাড়েনি মৃতের সংখ্যা। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২০। সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। আক্রান্তের ১৮% সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যেও। তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা খুবই কম। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪। তবে বাড়েনি মৃতের সংখ্যা। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২০। সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৯ জন। আক্রান্তের ১৮% সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
এদিন মুখ্যসচিব আরও জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১২০৪৩ জনের। সারা ভারতের কোভিড হাসপাতালে ৭.৫ %-ই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশের অনুপাত ২ শতাংশের মতো।' তিনি জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লক্ষ বাড়িতে সার্ভে করা হয়েছে। বাংলায় ৯ দিনে করোনা রোগী দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান। মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলার ৮ জেলায় করোনা সংক্রমণ নেই। রাজ্যের মোট ১৪টি ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাজ্যে আইসোলেশন বেডও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আরও পড়ুন, কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ, তবে ২১ মে পর্যন্ত লকডাউন পালনের পক্ষে মমতা ব্যানার্জি
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন ১৮৬২৯ জন, হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত আইসোলেশনে ৩৮৮৮, বর্তমানে সেই সংখ্যাটা ২৫২। বর্তমানে কোয়ারানটিনে সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি।আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয় রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের। জল্পনা ছিল কবে উঠবে লকডাউন। কিংবা আর কতদিন বাড়ানো হবে লকডাউন। এদিকে রাজ্যগুলির অচলাবস্থা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করলে মানুষ এবার না খেয়ে মরবে। আবার লকডাউন তুললে করোনা ছড়াবে হু হু করে। এই নিয়ে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। ভিডিও কনফারেন্সের পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্ততে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনে (Lockdown) কড়াকড়ি থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা ও হাওড়ার মতো রেড জোনের বহু এলাকা থেকেই করোনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, 'কেন্দ্র যেমন নির্দেশ দিচ্ছে দিক। বাংলাতে ২১ মে পর্যন্ত এখনকার পরিস্থিতি রাখার চেষ্টা করব আমরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থে এবার রেড-অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য। রেড জোনে কড়াকড়ি থাকবে। গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে একটু ছাড় দেওয়া হবে।' যদিও রাজ্যের তরফের যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা লকডাউন নয় বলেই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'লকডাউন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্র নিক। আমরা জোন ভাগ করে দেব। রাজ্যকে তো আমাদেরই চালাতে হবে। জোন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে রাজ্যই। গ্রামের দিকে কীভাবে কাজকর্ম চালু করা যায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)