Mamata Banerjee On Rishi Kapoor: কঠিন রোগের সঙ্গে হাসিমুখে লড়েছেন, ঋষি কাপুরের জীবনাবসানে টুইটারে শোক জ্ঞাপন মমতার
করোনাত্রস্ত মুম্বইতে যেন শোকের মিছিল লেগেছে। বুধবারই ৫৩ বছরে জীবনযাত্রায় ইতি টেনেছেন অভিনেতা ইরফান খান। রাত পোহাতে না পোহাতেই ফের হৃদয়বিদারক দুঃসংবাদ। চলে গেলেন লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত অভিনেতা ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor)। পাহাড় প্রমাণ শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের বিপর্যয়। এককথায় শোকে মুহ্যমান গোটা দেশ। বলিউড থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল, বিশ্বজুড়ে থাকা অনুরাগীরা সকলেই শোক বিহ্বল। টুইটারে জানাচ্ছেন শোকবার্তা। মহান অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করে পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।
কলকাতা, ৩০ এপ্রিল: করোনাত্রস্ত মুম্বইতে যেন শোকের মিছিল লেগেছে। বুধবারই ৫৩ বছরে জীবনযাত্রায় ইতি টেনেছেন অভিনেতা ইরফান খান। রাত পোহাতে না পোহাতেই ফের হৃদয়বিদারক দুঃসংবাদ। চলে গেলেন লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত অভিনেতা ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor)। পাহাড় প্রমাণ শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের বিপর্যয়। এককথায় শোকে মুহ্যমান গোটা দেশ। বলিউড থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল, বিশ্বজুড়ে থাকা অনুরাগীরা সকলেই শোক বিহ্বল। টুইটারে জানাচ্ছেন শোকবার্তা। মহান অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করে পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।
তিনি শোক বার্তায় লিখলেন, “আইকনিক ও বহুমুখী প্রতিভাবান অভিনেতা ঋষি কাপুরের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ঋষি কাপুর দেড়শোরও বেশি ছবিতে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। কঠিন রোগের কবলে পড়েও নিজের অসুস্থতায় কখনও মুহ্যমান থাকেননি। মর্যাদার সঙ্গে অসুস্থতাকে বরণ করেছিলেন। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার, প্রিয়জন, অগুন্তি অনুরাগী ও সহকর্মীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।” আরও পড়ুন- Political Leaders On Rishi Kapoor Death: ঋষি কাপুরের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশ, টুইটারে সমবেদনা রাজনৈতিক মহলের
প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে অনুরাগীরা যেন চোখের জলে নয় তাঁকে হাসিমুখে স্মরণ করেন। এমনটাই চায় ঋষির পরিবার। এদিন সকালে পরিবারের তরফে জানানো হয়, “আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর আজ সকাল ৮.৪৫-এ শান্তিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। টানা দু’বছর লিউকেমিয়ার সঙ্গে অবিরাম লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। হাসপাতালের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ওঁদের মাতিয়ে রেখেছিলেন ঋষি।গত ২ বছর চিকিত্সা চলাকালীনও সবসময়ে হাসিখুশি ছিলেন, জীবনকে প্রাণ ভরে উপভোগ করতেন। পরিবার, বন্ধু, খাওয়াদাওয়া, সিনেমাই ছিল ওঁর জীবনের ফোকাস। এই সময়ে যাঁরাই ওঁর সঙ্গে দেখা করেছেন অবাক হয়ে গিয়েছেন লড়াকু মনোভাব দেখে। রোগ ওঁর মনে ভয় ঢোকাতে পারেনি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের যে ভালবাসা উনি পেয়েছেন তার জন্যে সব সময়ে কৃতজ্ঞ ছিলেন। ওঁর মৃত্যুর পর চোখের জল নয়, ওঁকে হাসি মুখে মনে করলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। ব্যক্তিগত এই শোকের মধ্যেও আমরা সবাইকে একটাই অনুরোধ করব, সারা দুনিয়া যে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা মাথায় রাখবেন এবং আইন অনুযায়ী চলবেন। উনিও তাই চাইতেন।”