নিমতা খুন: মমতা ব্যানার্জি আজ যাচ্ছেন নিহত নেতা নির্মল কুন্ডুর বাড়িতে, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামছে তৃণমূল
নিমতায় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু (Nirmal Kundu)-র ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের পথে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পার্টি কর্মী নির্মল কুন্ডুর বাড়িতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।
কলকাতা, ৬ জুন: নিমতায় তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু (Nirmal Kundu)-র ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের পথে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। পার্টি কর্মী নির্মল কুন্ডুর বাড়িতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। গোটা রাজ্যজুড়ে কালো ব্যাচ পরে প্রতিবাদের পথে শাসক দল। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ,মুর্শিদাবাদের বড়োঞাঁ থেকে ভাড়া করে আনা হয় শার্প শ্যুটার সুজয় দাসকে। ধৃত বিজেপি কর্মী সুমন কুণ্ডু-ই তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডুকে খুনের বরাত দেয় সুজয় দাসকে।
বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উত্তরপাড়া থেকে অভিযুক্ত সুপারি কিলার সুজয় দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শাটার ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত বাইকটিও। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই উত্তর দমদমের একাধিক এলাকা উত্তপ্ত। মঙ্গলবার নিমতায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি নির্মল কুণ্ডু। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন নির্মল। আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই বিজেপিকে কড়ায় গন্ডায় অপমানের হিসেব বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন
মোটর সাইকেলে চেপে দু’জন দুষ্কৃতী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে নির্মলকে মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নির্মল। মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের এক তৃণমূল নেতার মুণ্ডু কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে পোস্টার উদ্ধার হল এ দিন। সব মিলিয়ে উত্তর দমদমের রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠছে। এরমধ্যেই বিরাটির তৃণমূল নেতা নির্মলবাবুর বাড়িতে সাতসকালেই মিলল বিজেপির হুমকি পোস্টার। স্থানীয়রাই প্রথম পোস্টারটি দেখতে পেয়ে নিমতা থানায় খবর দেন। পোস্টারের বিজেপির নাম থাকলেই এই অভিযোগ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা অসীম পোড়েল (Ashim Porel) বলেন, “ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেউ বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপির যোগ নেই। ব্যক্তিহত্যার রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাস করে না।” সে বিজেপি নেতারা যাই প্রকাশ্যে বলুন না কেন, নিচুতলার কর্মী সমর্থকরা যে ভালরকম হিংসার রাজনীতি করছে তার ছবি বেশ স্পষ্ট। এখনই যদি বিজেপি নেতৃ্ত্ব এর রাশ না টানে তবে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ আকার নেবে। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।