মুখ্যমন্ত্রী কেন এনআরএসে আসছেন না? তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহারে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা

মুখ্যমন্ত্রী কী করে জুনিয়র ডাক্তারদের বিজেপি, বহিরাগত বলেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( PTI)

কলকাতা, ১৩জুন:  এসএসকেএমে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন নিয়ে রাজনীতি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ঔদ্ধত্যের ছাপ, তাই যতক্ষণ না নিজের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছেন ততক্ষণ আন্দোলন উঠছে না। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার চারঘণ্টা সময়সীমা নির্ধারণ করার পরই পালটা বিবৃতিতে এটাই জানালেন এনআরএসে-র আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার বদলে আরও বিগড়ে গেল। আন্দোলকারীদের সাফ বক্তব্য, যতক্ষণ না নিজের আচরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আরও পড়ুন-তানাশাহির রাজনীতি চলছে, এসএসকেএম প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ মুকুল রায়ের

আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চার ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। এসএসকেএম চত্বরে ততক্ষণে জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানের মুখে ঘেরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (CM Mamata Banerjee) । এদিকে এহেন বক্তব্য ছড়াতে সময় নেয়নি। সঙ্গে সঙ্গে জিবি-র বৈঠকে বসেন এনআরএসের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জানানো হয়, কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই হুমকির কাছে ডাক্তাররা মাথা নত করবেন না।আন্লোন যেমন চলছিল তেমনটাই চলবে, যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের জন্য এনআরএস হাসপাতালে এসে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছেন।

উল্লেখ্য, এদিন এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  ‘‘এঁরা জুনিয়র ডাক্তার নন, বহিরাগত।’’ আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন যে আন্দোলনকারীরা বিজেপি না সিপিএম অথবা বহিরাগত?  এই মন্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই ধরনের মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রীতিমতো দাবি করেছেন যে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়নি।  রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মাধ্যমে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁরা কথা বলেননি। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে এনআরএস-এর আন্দোলনকারী ডাক্তাররা জানিয়েছেন,  এত বড় সমস্যায় পড়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা, সেই সমস্যা শুধুমাত্র একটা ফোনে সমাধান হয়ে যাবে, এই ভাবনা ভুল। উনি এসএসকেএম হাসপাতালে যাচ্ছেন, অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন, অথচ এক বার এনআরএস হাসপাতালে আসতে পারছেন না?