COVID-19: কোভিড বিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে খোলা রাখা যাবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায়ও।রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কম হওয়ায় কোভিড বিধিনিষেধ আরও শিথিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনে ব্যবসায় অনেকটা ক্ষতির কারণে হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিকে কোভিড নিয়ম মেনে খোলার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তরাঁ। তবে প্রত্যেক কর্মীদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানান। যারা রেস্তরাঁয় যেতে চান তারা নিয়ম মেনে যেতে পারেন।

রেস্তরাঁ (Photo Credits: Flickr)

কলকাতা, ৩ জুন: আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায়ও।রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কম হওয়ায় কোভিড বিধিনিষেধ আরও শিথিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনে ব্যবসায় অনেকটা ক্ষতির কারণে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিকে (Hotel & Restaurant) কোভিড নিয়ম মেনে খোলার অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তরাঁ। তবে প্রত্যেক কর্মীদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলে জানান। যারা রেস্তরাঁয় যেতে চান তারা নিয়ম মেনে যেতে পারেন।

তবে দূরত্ববিধি মানতে হবে কঠোরভাবে। স্যানিটাইজার, মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতে হবে। আগামী ১৪ জুনের পর শপিং মলগুলি আংশিক খোলা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। আরও পড়ুন, গ্রীষ্মের দাবদাহের মাঝেই আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা; বাংলায় কবে ঢুকছে বর্ষা?

মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ জানান,"সবার কথা ভেবে আমরা অন্যান্য রাজ্যের মতো লকডাউন করিনি, আমরা কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছি। বিধিনিষেধ জারি করেছি, মানুষ সহযোগিতা করছেন। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খুচরো দোকান, শাড়ির দোকান  খোলা রয়েছে। মিষ্টির দোকানগুলোও খুলে রাখা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন নিয়ে কর্মীদের কাজ করাতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছি। ৬০-৭০ হাজার ভ্যাকসিন আমরা রোজ দিয়ে যাচ্ছি। বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারেন, সেটা দেখতে হবে। রাজ্যের বাজারগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হোক। পরিচারিকাদের টিকাকরণের দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।"

আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিল ২৯টি বণিক সংগঠন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও উপস্থিত ছিলেন। কোভিড পরিস্থিতি থেকে ভ্যাকসিন, য়াস পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বণিকদের উদ্দেশ্যে আরও জানান, "শিল্পের ক্ষেত্রে যদি আপনারা ভ্যাকসিন জোগাড়ের দায়িত্ব নেন, তাহলে আমরা দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।বেসরকারিভাবেও যদি ভ্যাকসিন পান, তাহলে কেনার চেষ্টা করুন।"

এছাড়া আরও জানান, রাইস মিলের কর্মীদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। ফ্লাওয়ার মিল-রাইস মিল সব একসঙ্গে ধরা হবে। দুয়ারে রেশন প্রকল্প শীঘ্রই চালু হবে বলেও জানান।