Mamata Banerjee: শর্তসাপেক্ষে বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ ও 'প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান' প্রকল্পের বাস্তবায়ণে রাজি মমতা ব্যানার্জি

বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ ও প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ণ করছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি নেতা থেকে রাজ্যপালের কাছে একাধিকবার খোঁচা খেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপি নেতাদের দাবি, রাজনীতির জন্য গরিব মানুষদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার।

(Photo Credits: Facebook/elections.in)

নতুন দিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর: বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ (Ayushman Bharat) ও প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান (PM Kishan Samman Nidhi) প্রকল্পের বাস্তবায়ণ করছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি নেতা থেকে রাজ্যপালের কাছে একাধিকবার খোঁচা খেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপি নেতাদের দাবি, রাজনীতির জন্য গরিব মানুষদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার।

এই পরিস্থিতিতেকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে চিঠি লেখেন মমতা ব্যানার্জি। দ্য ওয়াল-র খবর অনুযায়ী, ওই দুই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প ও কৃষক সম্মান প্রকল্পের বাস্তবায়ণে তিনি রাজি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জন্য সমগ্র খরচ কেন্দ্রকে বহন করতে হবে এবং ওই অর্থ রাজ্য সরকারের মাধ্যমে খরচ করতে হবে কেন্দ্রকে। একই ভাবে তাঁর দাবি, কৃষক সম্মান প্রকল্পের রূপায়ণেও রাজ্য রাজি। তবে কৃষকদের প্রাপ্য সেই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে কেন্দ্রকে। তারপর রাজ্য সরকার তা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেবে। এই শর্ত মানলে তবেই প্রকল্পে রাজি হবে রাজ্য সরকার। আরও পড়ুন, আন্ডার ওয়ার্ল্ডে ইডির বড়সড় সাফল্য, দুবাইয়ে বাজেয়াপ্ত দাউদ সহযোগী ইকবাল মিরচির ২০৩ কোটির সম্পত্তি

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের অনুদানে এই প্রকল্প বর্তমানে ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফারের মাধ্যমে রূপায়িত হয়। অর্থাৎ উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র সরকার। তবে দেখা গেছে, উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা না পাঠালে অনিয়ম হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। হচ্ছে দুর্নীতি।

মুখ্যমন্ত্রীর এই শর্তের কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, "আম্ফানের ত্রাণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই টাকা তৃণমূলের নিচের তলার লোকজন কীভাবে লুটেপুটে নিয়েছে বাংলার মানুষ দেখেছে। রেশনের চাল নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। ভোটের আগে টাকা লুঠের জন্যই এখন এই শর্ত চাপাতে চাইছে। আসলে গরিব মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই বাংলার সরকারের।"