Mumbai, Kolkata may get flooded by 2050: ২০৫০ সালের মধ্যে সর্বগ্রাসী সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবে সাধের কলকাতা, কেন জানেন?

আর ৩১ বছরের মধ্যেই সর্বগ্রাসী ঢেউয়ের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Mumbai) ও স্মৃতির শহর কলকাতা (Kolkata)। যে হারে সমুদ্রের জলস্তর প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে চলেছে তাতে এই শতাব্দীর মাঝামাঝি অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কলকাতা মুম্বইয়ের মতো শহর। নভি মুম্বইও (Navi Mumbai) এই তালিকার মধ্যেই পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বিজ্ঞান সংস্থা ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’-এর (Climate Central study) একটি গবেষণায় এ বার এমনই তথ্য উঠে এল।

ডুবন্ত শহরের প্রতীকী ছবি (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ৩০ অক্টোবরআর ৩১ বছরের মধ্যেই সর্বগ্রাসী ঢেউয়ের কবলে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বাণিজ্য নগরী মুম্বই  (Mumbai) ও স্মৃতির শহর কলকাতা  (Kolkata)। যে হারে সমুদ্রের জলস্তর প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়ে চলেছে তাতে এই শতাব্দীর মাঝামাঝি অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কলকাতা মুম্বইয়ের মতো শহর। নভি মুম্বইও  (Navi Mumbai) এই তালিকার মধ্যেই পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বিজ্ঞান সংস্থা ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’-এর (Climate Central study)  একটি গবেষণায় এ বার এমনই তথ্য উঠে এল। ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’-এর গবেষণাপত্র ‘নেচার কমিউনিকেশনস’-এ বলা হয়েছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমুদ্রে জলস্তরের ওঠানামা এবং স্থলভূমির উপর তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে ওই সংস্থা। তাতেই এমন বিপদ সঙ্কেত মিলেছে।

দেখা গিয়েছে, ২০৫০-এর মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর উপকূল ছাপিয়ে পাকাপাকি ভাবে উপরে উঠে আসতে পারে। এর ফলে, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এবং চিনই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, বাংলাদেশে ন’কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে বাস করেন। চিনে এই সংখ্যাটা চার কোটি ২০ লক্ষ। অবিলম্বে তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত বলে মত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের আধিকারিক ডিনা লোনেস্কোর। তাঁর কথায়, ‘‘বহু দিন ধরেই সতর্ক করে আসছি আমরা। আমরা জানি কী হতে চলেছে। নাগরিকদের স্থানান্তরিত করতে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সব দেশের সরকারের।’’ আরও পড়ুন-Jammu and Kashmir, Ladakh to Become Two Separate Union Territories: আগামিকাল ৩১ অক্টোবর, মধ্যরাত থেকেই দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বদলে যাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ

এই প্রসঙ্গে ক্লাইমেট কন্ট্রোলের পরিবেশবিদ, গবেষক স্কট এ কাল্প জানিয়েছেন,  অ্যান্টার্টিকা আর গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার হার আরও বাড়ছে। আরও উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী। সেই সঙ্গে দূষণের হার বাড়ায় কার্বন নির্গম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০-এর মধ্যে এই তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এই তাপমাত্রা বাড়লে কী কী হতে পারে? স্কট বলেছেন, অ্যান্টার্কটিন্টা ও গ্রিনল্যান্ডে আরও দ্রুত গলবে বরফ। দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতা বাড়লে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই। পাহাড়প্রমাণ হিমশৈল তথা বরফের চাঁই গলে সমুদ্রের জলে মিশবে। আয়তন বাড়বে জলভাগের। ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে বাস্তুতন্ত্র। জলস্তর বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ৩০ কোটি মানুষ। বাসভূমি হারাতে পারেন ১৫ কোটি মানুষ। এশিয়াতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now