WB Assembly Elections 2021: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাতে বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাস, তুঙ্গে দলবদলের জল্পনা
গত সপ্তাহেই মুকুল রায়কে অস্বস্তিতে ফেলে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসেন সৃজন রায়। দলবদলের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেছিলেন একই পরিবারের মধ্যে তো ভুল বোঝাবুঝ হয়। পরে তা মিটেও যায়। আবার পরিবার মিলে যায়। এক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেছে। তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক অটুট আছে। এদিকে সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের তৃণমূলের ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা প্রবল হল। এবার সম্ভভত বিজেপি ত্যাগ করছেন গেরুয়া শিবিরের দুই বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং। বিশ্বজিংবাবু বনগাঁর বিধায়ক। আর সুনীল সিং বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় তথা নোয়া পাড়ার বিজেপি বিধায়ক।
কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি: গত সপ্তাহেই মুকুল রায়কে অস্বস্তিতে ফেলে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসেন সৃজন রায়। দলবদলের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেছিলেন একই পরিবারের মধ্যে তো ভুল বোঝাবুঝ হয়। পরে তা মিটেও যায়। আবার পরিবার মিলে যায়। এক্ষেত্রে সেই ঘটনা ঘটেছে। তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক অটুট আছে। এদিকে সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের তৃণমূলের ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা প্রবল হল। এবার সম্ভভত বিজেপি ত্যাগ করছেন গেরুয়া শিবিরের দুই বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও সুনীল সিং। বিশ্বজিংবাবু বনগাঁর বিধায়ক। আর সুনীল সিং বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় তথা নোয়া পাড়ার বিজেপি বিধায়ক। এদিন হাউস চলাকালীন বিধানসভায় নিজের ঘরে যান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন-India vs England: টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট শিকারির ক্লাবে এবার নতুন সদস্য ইশান্ত শর্মা
সে সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে দেখা করেন ওই দুই বিধায়ক। মমতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন বিশ্বজিৎ দাস। উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ ও সুনীল দু'জনই একসময় তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। পরে দলবদলে BJP-তে যোগ দেন তাঁরা। ভোটের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দুই BJP বিধায়কের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। যদিও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বিষয়ে আলোচনার জন্য দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।’ গত কয়েকদিনে টলিউডের একঝাঁকা তারকা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে পদ্মশিবিরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। তায় আজকের বিধানসভার ঘটনা এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে অনেকেই ভেলকি দেখার অপেক্ষায় চুপ করে আছেন।
বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। শাসক তৃণমূলকে সুযোগ পেলেই আক্রমণে বিদ্ধ করছে বিরোধীরা। এ ব্যাপারে একেবারে সর্বাগ্রে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। গত সোমবার কেন্দ্রের বাজেট পেশের পর রাজ্য বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল। গতকাল মেদিনীপুর থেকে কিষাণনিধি প্রকল্পে মমতার সরকারকে বেনজির আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর আজ বিধানসভায় শেষ বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে ঠারোঠোরে মিথ্যেবাদী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অধিবেশন শেষে শাসকদল ও বিরোধীদলের বিধায়কদের সঙ্গে ফটো সেশনের পর বললেন “আবার আমি ফিরব।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ছিল আত্মপ্রত্যয়ের সুর।