Bhatpara Clash: নিহত পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা বিজেপি-র, মৃতদেহ নিয়ে মিছিলে আজ পদ্ম শিবিরের নেতারা
উত্তর ২৪ পরগণায় ভাটপাড়ায় অশান্তির পর বড় ঘোষণা দেশের শাসক দল বিজেপি-র। অর্জুন সিংয়ের গড়ে নিহত পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিল বিজেপি।
কলকাতা, ২১ জুন: উত্তর ২৪ পরগণায় ভাটপাড়া (Bhatpara Clash)-য় অশান্তির পর বড় ঘোষণা দেশের শাসক দল বিজেপি (BJP)-র। অর্জুন সিংয়ের গড়ে নিহত পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিল বিজেপি। ক্ষতিপূরণের ঘোষণার পাশাপাশি আজই ভাটপাড়ায় যাচ্ছে বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। চাপা উত্তেজনার মধ্যেই আজ দুই সমর্থকের দেহ নিয়ে মিছিল করবে বিজেপি। ভাটপাড়ায় তৃণমূলকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চান না সাংসদ অর্জুন সিং।
তাই এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ভাটপাড়ার দাপুটে 'বেতাজ বাদশা' অর্জুন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন বলে জানা গিয়েছে। গতকালই জারি হয় ১৪৪ ধারা। ভাটপাড়া জুড়ে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষবা। শান্তি বজায় রাখাতে এলাকায় মাইকে আবেদন করছে পুলিশ। আরও পড়ুন- ভাটপড়ায় অশান্তির পর কী কী হল
কিন্তু কেন বারবার এমন ঘটছে ভাটপাড়ায়! অনেকেই বলছেন, এলাকা দখলের অলিখিত লড়াই চলছে তৃণমূল-বিজেপি-র। ক দিন আগেই উপনির্বাচনে অর্জুন পুত্র পবন সিংয়ের কাছে হারের পর তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মদন মিত্রর অভিযোগ ছিল, এই ভাটপাড়া বিজেপির সন্ত্রাস গড় হয়ে গিয়েছে। বিজেপি-র পাল্টা দাবি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রাম স্লোগান শুনে অপমানিত বোধ করার পরই তৃণমূল খুনের খেলায় নেমেছে।
শিরোনামে উঠে এসেছে শিল্পাঞ্চল বারাকপুরের ভাটাপড়া কাঁকিনাড়া (Barackpur, Bhatpara, Kankinara) এলাকা। এবার অশান্তি এড়াতে এই বারাকপুর সাব ডিভিশনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল প্রশাসন। মূলত খুনোখুনি হিংসার জেরে গোটা এলাকাটাই গত দেড়মাস ধরে অশান্ত হয়ে রয়েছে। এরমধ্যেই ঝরে গিয়েছে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ। খুনের ঘটনা ঘটলেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, এরফলে অশান্তি বড় আকার নেয়। এমন পরিস্থিতিতে আটকাতেই বারাকপুর, বনগাঁ ও বসিরহাট সাবডিভিশনের বন্ধ হয়ে গেল ইন্টারনেট পরিষেবা। জেলা শাসকের দপ্তর থেকে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিটি সংস্থাকেই চিঠি দিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালও ভাটপাড়ায় থানা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশের সামনেই দুই দুষ্কৃতীদলের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়ে যায়, বোমাবাজি, গুলি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে দুজনের, আহত পাঁচজন। যদিও বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)দাবি পুলিশের গুলিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। তবে উদ্বোধন স্থগিত রেখেই থানার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঝপথ থেকেই কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন ডিজি রবীন্দ্র। ইতিমধ্যেই বারাকপুরকে শান্ত করতে কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরিকে সরিয়ে সেখানে মনোজ বর্মাকে আনা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি যাতে নিয়্ন্ত্রণে আসে তার কড়া নির্দেশ দিএছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
সপ্তাহ খানেক আগেই রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তাল হয়ে ওটে সন্দেশখালি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বসিরাহাট মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেই এই বন্দোবস্ত। এর আগে ২০১৭-তে যখন বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তখনও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বসিরহাট বারাসত সাব বিভিশনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে সন্দেশখালির ন্যাজাটের সাতগাছি এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিন তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন ছয় তৃণমূল কর্মী। গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে শাসকদল। একইভাবে পাঁচ কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।