Kolkata Woman In Oxford University Vaccine Team: অক্সফোর্ডে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির গবেষক দলে জায়গা করে নিল বাংলার চন্দ্রা দত্ত
করোনা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যে ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার মানব শরীরের পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন। হিউম্যান ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে এই ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে সাধারণের জন্য পাওয়া যাবে। আর এই দলেই যুক্ত আছেন বঙ্গ কন্যা চন্দ্রা দত্ত।
কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: করোনা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যে ভ্যাক্সিনের ট্রায়ালও শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University)। গত বৃহস্পতিবার মানব শরীরের পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এই ভ্যাকসিন (Vaccine)। হিউম্যান ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে এই ভ্যাকসিন আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে সাধারণের জন্য পাওয়া যাবে। আর এই দলেই যুক্ত আছেন বঙ্গ কন্যা চন্দ্রা দত্ত (Chandra Dutta)।
অক্সফোর্ডে বসবাসকারী ৩৪ বছরের চন্দ্রা কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। করোনা ভ্যাকসিন টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রা। টালিগঞ্জের গলফ গার্ডেনের বাসিন্দা চন্দ্রা গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোজি নিয়ে পড়াশোনা করে ২০০৯ সালে বায়ো টেকনোলজিতে এমএসসি পড়তে ব্রিটেনে চলে যান তিনি। আরও পড়ুন, ২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করল অক্সফোর্ড
অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয় বলে তিনি জানান। ট্রায়াল শেষে সফল হলে শীঘ্রই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। করোনভাইরাস নিয়ে মেয়ের কাজে ঝুঁকির বিষয়ে প্রথমে একটু ভয়ে থাকলেও এখন তা ঝেড়ে ফেলেছেন বলে জানান গলফ গার্ডেনের ফ্ল্যাটে বসবাসকারী চন্দ্রার বাবা সমীর কান্তি দত্ত এবং মা কাবেরী দত্ত। গত ডিসেম্বরে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন চন্দ্রা।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে প্রথমেই ২ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা হয়েছে। বিবিসি রিপোর্ট অনুযায়ী আরও ৮০০ জন এই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একে একে তাঁদের শরীরেও ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এই ৮০০ জনের মধ্যে অর্ধেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আর বাকিদের কন্ট্রোল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যা মেনিনজাইটিস থেকে সুরক্ষা দিলেও করোনাভাইরাস সুরক্ষিত নয়। তবে এই বিষয়টি চিকিৎসকরা জানলেও স্বেচ্ছাসেবীরা জানতে পারছেন না, তাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ ব্যাকসিন না কি কন্ট্রোল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।