মাদকবিরোধী দিবসের মঞ্চে মত্ত পুলিশ কর্তা, সোনারপুরে শোরগোল
আইসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই, দাবি বাসিন্দাদের।
সোনারপুর, ২৭জুন: মত্ত পুলিশ দেখতে এদেশের মানুষ এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তাইতো পুলিশ দেখলে যতটা না ভরসা হয় তার থেকে ভয় হয় বেশি। যত বিপদেই পড়ুক থানায় খবর দিতে যেতে মন সায় দেয় না, পুলিশ এসে তদন্ত করার বদলে তো হেনস্তা করে বেশি, এমন অভিযোগ ভূরি ভূরি রয়েছে। এবার তো আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে সচেতনতা প্রচারে ফের খেল দেখাল রাজ্য পুলিশ। মাদক বিরোধী দিবসের সচেতনতা মিছিলে পা মেলালেন মত্ত পুলিশকর্তা, ভাবা যায়। এমন ঘটনাই ঘটেছে সোনারপুরে। আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথা বলেননি, 'মিডিয়া গল্প বলছে'
জানা গিয়েছে, মত্ত পুলিশ কর্তা হলেন সোনার পুর থানার আইসি অসিতবরণ কুইল্যা। তিনি এদিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে আসেন টলোমলো পায়ে।এই দেখেই মিছিলে অংশগর্হণকারীদের চোখ কপালে উঠেছে। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে, আইসি-কে বাড়ি চলে যেতে বলেন উপস্থিত পুলিশ কর্তারা। বারুইপুর পুলিশের তরফে বুধবার মাদকবিরোধী সচেতনতার প্রচারের জন্যে সোনারপুর থেকে বৈকণ্ঠপুর পর্যন্ত একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। হাজির ছিলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদমুনির খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুও।অভিযোগ, ওই মিছিলে সোনারপুর থানার আইসি অসিতবরণ কুইল্যা ‘মত্ত’ অবস্থায় হাঁটছিলেন। প্রথম থেকেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন তিনি। একটা সময়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তাঁকে বক্তৃতা দিতেও দেখা যায়। এর পর তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোনারপুর থানার আইসি অসিত বরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা শোনা যায়। নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর আমলেই সোনারপুর এলাকায় জুয়া-গাঁজার ঠেক নতুন করে গজিয়ে উঠছে। এই মদ জুয়ার কারবার বেড়ে উঠতেই এলাকায় অসামাজিক কাজও বাড়ছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। ছেলেমেয়েদের পথেঘাটে একা ছেড়ে দিতে সাহস পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। কিন্তু থানাতে বার বার জানানো হলেও জুয়া, গাঁজার ঠেকে অভিযানের কোনও ব্যবস্থাই হয়নি। উলটে বেআইি মদের ঠেকে এলাকায় সন্ধ্যার পরে চলাফেরা করা দায় হয়ে উঠেছে। আইসি-র কীর্তি দেখে এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালমতো আঁচ করতে পেরেছেন বাসিন্দারা।