জরায়ু নয় লিভার পাকস্থলির মাঝে বাড়ছিল শিশু, এমন কী করে ঘটল?

জরায়ু নয়, পাঁচ মাস ধরে মায়ের পাকস্থলী, অন্ত্র, খাদ্যনালী এবং লিভারের ফাঁকে বেড়ে উঠছিল শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন এমন ঘটনা বিস্ময়কর, বিরলের মধ্যে বিরলতম। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, ওই সন্তানকে কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। কেননা সন্তানকে বাঁচাতে গেলে মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

কলকাতা, ২৯ জুলাই: চিকিৎসা শাস্ত্রের বিরলতম ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা। পাঁচ মাস ধরে একটু একটু করে বাড়ছে সন্তান, মা জানেনই না। কারণ সন্তানসম্ভবা হওয়ার কনোওরকম লক্ষণই যে প্রকট হয়নি। নিয়মিত ঋতুস্রাব চলছে, শুধু মাঝে মাঝে পেটে অসহ্য ব্যথা করত। সেই ব্যথা নিরসনেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন বছর পঁচিশের গৃহবধূ প্রতিমা বাগ। চিকিৎসকরাও মহিলার ব্যথার কারণ প্রথমে খুঁজে পাননি। তবে ইউরিন  টেস্ট করতেই জানা যায় তিনি সন্তান সম্ভবা। এদিকে জরায়ুতে নতুন প্রাণের চিহ্ন নেই। আরও পড়ুন-দীর্ঘ খরা কাটিয়ে বর্ষায় ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ, পর পর ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টি চলবে রাজ্যে

পরে থ্রিডি স্ক্যান করতেই দেখা যায় লিভার অন্ত্র ও পাকস্থলীর পাশেই হাত পা নিয়ে বাড়ছে শিশু। শেষপর্যন্ত এদিন অস্ত্রোপচার করে গৃহবধূকে ব্যথা থেকে মুক্তি দেওয়া হল।জরায়ু নয়, পাঁচ মাস ধরে মায়ের পাকস্থলী, অন্ত্র, খাদ্যনালী এবং লিভারের ফাঁকে বেড়ে উঠছিল শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন এমন ঘটনা বিস্ময়কর, বিরলের মধ্যে বিরলতম। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, ওই সন্তানকে কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। কেননা সন্তানকে বাঁচাতে গেলে মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। তাই মাকে বাঁচানোর উপরেই জোর দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবোধ সোরেন এবং পূজা ব্যানার্জি ভৌমিক বলেন, “গর্ভস্থ সন্তান প্লাসেন্টার বদলে বিপজ্জনক জায়গায় বড় হচ্ছিল। মায়ের নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার কারণে তিনি বুঝতেও পারেননি যে তাঁর গর্ভে সন্তান এসেছে। খাদ্যনালী, লিভার এবং পাকস্থলীর দেওয়াল থেকে গর্ভস্থ শিশু তার খাবার সংগ্রহ করছিল। কিন্তু আর একটু বড় হলেই সে যে ভাবে খাবার সংগ্রহ করত, তাতে মায়ের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা তৈরি হতো। ফলে মায়ের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকত।” তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় ১০ হাজারে একটি সন্তান বাঁচে। তাই এক্ষেত্রে মা কে বাঁচানোর জন্য অস্ত্রোপচার করে গর্ভস্থ শিশুকে বাদ দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।

প্রতিমাদেবীর এমন জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি বিশেষ টিম তৈরি হয়। তাঁরাই এই অসাধ্য সাধন করেন। তবে সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন এই খবর পেয়েই ফের কাতর হয়ে পড়েছেন ওই রোগিনী। নিজেকে বাঁচাতে যে তাঁকে আজ সন্তানকে হারাতে হল এটা ভাবতেই পারছেন না।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now