Kolkata Horror: কলকাতায় বৃদ্ধাকে ধর থেকে মাথা ছিন্ন করে খুন, টাকা পয়সা ছুঁয়েই দেখল না আততায়ীরা
ফের শহরে একাকি বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থল কলকাতার (Kolkata) গড়চা এলাকা। মৃতের নাম ঊর্মিলা কুমারী (৬৫)। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তাঁর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। গরচা ফার্স্ট লেনের বাড়িটিতে ছোট ছেলে, বৌমা এবং দুই নাতির সঙ্গে তিনি থাকতেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার ছোট ছেলে ও তাঁর পরিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। সে দিন থেকে গরচা ফার্স্ট লেনের বাড়িতে একা ছিলেন বৃদ্ধা। বুধবার রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ী। ঊর্মিলাদেবীর মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর: ফের শহরে একাকি বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থল কলকাতার (Kolkata) গড়চা এলাকা। মৃতের নাম ঊর্মিলা কুমারী (৬৫)। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তাঁর স্বামী আগেই মারা গিয়েছেন। গরচা ফার্স্ট লেনের বাড়িটিতে ছোট ছেলে, বৌমা এবং দুই নাতির সঙ্গে তিনি থাকতেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার ছোট ছেলে ও তাঁর পরিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। সে দিন থেকে গরচা ফার্স্ট লেনের বাড়িতে একা ছিলেন বৃদ্ধা। বুধবার রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ী। ঊর্মিলাদেবীর মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পরিচারিকা কাজে এসেই চেঁচামেচি শুরু করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিন বাড়িতে ঢুকতে পরিচারিকার বেগ পেতে হয়নি। দরজা ভেজানো থাকলেও তালা খোলাই ছিল।ঘরে ঢুকেই তিনি দেখতে পান বৃদ্ধার মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে নাড়িভুঁড়ি, যকৃৎ। বিছানা আর মেঝে ভেসে যাচ্ছে রক্তে। ঘর পুরো লন্ডভন্ড। বৃদ্ধার এমন পরিণতি দেখে শিউরে উঠেছিলেন তিনি। দ্রুত বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেলা বারোটায় পরিচারিকা ঢুকে দেখেন, বিছানায় ঊর্মিলাদেবীর ধড়ের কোমর পর্যন্ত এবং শরীরের নীচের অংশ খাট থেকে ঝুলছে। পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে নাড়িভুঁড়ি, যকৃৎ। আরও পড়ুন-Kolkata Onion Prices: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপ, কলকাতায় এক ধাক্কায় পেঁয়াজ ১৬০ থেকে নেমে ১২০ টাকা কিলোতে
ঊর্মিলাদেবীর হাতে, কানে এবং গলার গয়না দেহেই ছিল। এমনকি, ঘটনাস্থল থেকে কিছু টাকাও উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা প্রধানের কথায়, ‘‘প্রৌঢ়ার গয়না এবং টাকা পাওয়া গিয়েছে। ফলে এটা স্পষ্ট নয় যে লুটের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে। বাড়ি থেকে কী কী খোয়া গিয়েছে, প্রৌঢ়ার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে জানতে হবে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওই প্রৌঢ়াকে নৃশংস ভাবে খুন করার ধরনেই অনুমান যে এর পিছনে কোনও পুরনো শত্রুতা থাকতে পারে।’’