Chiranjeet Wants to Quit: ‘রাজনীতির লোক নই, ছেড়ে দিন আমাকে’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অব্যাহতি চাইলেন চিরঞ্জিৎ
“রাজনীতির লোক নই। ছেড়ে দিন আমাকে। দল ছেড়ে দিলেও অন্য দলে যাব না। ফিরে যাব নিজের জগতে।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে যখন দলবদলের খেলা ক্রমশ জমে উঠেছে। টলিউডও সেই খেলার অন্যতম অংশগ্রহণকারী। ঠিক তখনই রাজনীতি থেকে অবসর চাইলেন তৃণমূলের বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। আচমকা ভোটের মুখে দল ছাড়ার প্রসঙ্গে বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক জানান, “আমি অরাজনৈতিক লোক। বলা ভাল রাজনীতির বাইরের লোক। পলিটিক্স ইজ নট কাপ অফ মাই টি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি, ছেড়ে দিন অন্য কাজ করি।
কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: “রাজনীতির লোক নই। ছেড়ে দিন আমাকে। দল ছেড়ে দিলেও অন্য দলে যাব না। ফিরে যাব নিজের জগতে।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে যখন দলবদলের খেলা ক্রমশ জমে উঠেছে। টলিউডও সেই খেলার অন্যতম অংশগ্রহণকারী। ঠিক তখনই রাজনীতি থেকে অবসর চাইলেন তৃণমূলের বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty)। আচমকা ভোটের মুখে দল ছাড়ার প্রসঙ্গে বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক জানান, “আমি অরাজনৈতিক লোক। বলা ভাল রাজনীতির বাইরের লোক। পলিটিক্স ইজ নট কাপ অফ মাই টি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি, ছেড়ে দিন অন্য কাজ করি। ছবি আঁকা, গান, সিনেমা নিয়ে থাকতে চাই। অনেক বয়স হয়েছে। দল বদলের প্রশ্ন নেই। আমি রাজনৈতিক নেতা নয়। আমার নিজের দল আছে। যা হল অরাজনৈতিক।” আরও পড়ুন-Prasenjit Chatterjee: ‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কখনও রাজনীতিতে যাবে না’, গেরুয়া শিবিরে যোগ জল্পনায় জল ঢাললেন অভিনেতা
গতকাল রাতে শ্যামাপ্রসদা মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মাথা ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সপরিবারে অভিনেতা প্রসেনজিতের বাড়িতে যান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বুম্বাদার রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। কারণ মঙ্গলবার সকালে মিঠুনের মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ এবং তৃণমূলের সঙ্গেও ছিলেন একদা। ২০১৬-তে অসুস্থতার কারণ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। সেইমিঠুনের কাছে সংঘ প্রধানগেলে যে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চমকের আভাস থাকবে তা বলাই বাহুল্য। শোনা যাচ্ছে মিঠুন নাকি বিজেপির হয়ে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে আসতে পারেন।
এমন সময় তৃণমূল ছেড়ে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন অভিনেতা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। তাই কানাঘুষো শুরু হয়েছে। তবে এমন প্রশ্নকে সোজা বলে বাউন্ডারি পার করিয়ে দিলেন অভিনেতা বললেন,“২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৬টি আসন দরকার ছিল। তার বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান, সভায় গিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল ওঁ একমাত্র ব্যক্তি যে সত্যি পরিবর্তন আনতে পারবেন। ওই বছর ওঁর অনুরোধেই ভোটে দাঁড়াই। ২০১৬ সালেও অব্যাহতি চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হননি। বলেছিলাম আমাকে ছেড়েদিন। আর লাগবে না। এবারও তাই চেয়েছি।”