Behala Murder: মা-কে খুন করে চাদরে জড়িয়ে রাস্তায় ফেলে দিল মেয়ে-জামাই! প্রতিবেশীদের বয়ানে পর্ণশ্রীতে মহিলা খুনে চাঞ্চল্যলকর মোড়
অবশেষে পর্দা ফাঁস হলো বেহালা পর্ণশ্রী মহিলা খুনের। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাতে শম্পাদেবীর মেয়ে- জামাই মিলেই খুন করেছে শম্পাদেবীকে। তাঁর দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে তারা। লোপাট করতে না পেরে দেহ সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। খুনের ঘটনায় মেয়ে- জামাইকে আটক করে পুলিশ।
কলকাতা, ২৫ আগস্ট: Deadbody Found at Behala Parnasree: অবশেষে পর্দা ফাঁস হলো বেহালা পর্ণশ্রী মহিলা খুনের। স্থানীয় প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাতে শম্পাদেবীর মেয়ে- জামাই মিলেই খুন করেছে শম্পাদেবীকে। তাঁর দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে তারা। লোপাট করতে না পেরে দেহ সেখানে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। খুনের ঘটনায় মেয়ে- জামাইকে আটক করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মহিলার স্বামীর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এক প্রতিবেশী জানান, ঘটনার দিন রাত তিনটে নাগাদ জোরালো কিছু আওয়াজ পান। বাইরে বেড়িয়ে তিনি দেখেন ফ্ল্যাটের গ্যারাজ খোলার চেষ্টা করছে শম্পা চক্রবর্তীর মেয়ে ও জামাই। চাদর জড়ানো একটি বোচকা নিয়ে সাইকেলে তোলার পর কিছুটা দূরে যেতেই সাইকেলটি উল্টে পড়ে যায়। এরপর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় জামাই। মহিলার মেয়ে তখন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। ফোন করতেও দেখা যায় তাকে।
উল্লেখ্য, আজ রবিবার সকাল ৬ টা নাগাদ বেহালার (Behala) পর্ণশ্রীর (Parnasree) রাস্তার পাশ থেকে বিছানার চাদর মোড়ানো এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম শম্পা চক্রবর্তী (Shampa Chakraborty)। বয়স ৪৭। ঘটনাটি ঘটে বেহালা পর্ণশ্রীর বাসুদেবপুর রোডে (Basudebpur Road)। বসুন্ধরা অ্য়াপার্টমেন্টের সামনে থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন সকালে যাঁরা প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন তাঁরাই তাঁর দেহ দেখতে পান।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাতঃভ্রমণকারীরা সকালে দেখতে পান লাল বিছানার চাদর জড়িয়ে কিছু একটা রাস্তার একপাশে পড়ে রয়েছে। পাশে পড়েছিল একটি ট্রলিও। চাদরের বাইরে মহিলার পা বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরাই সবার আগে পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ চাদর খুললে তাঁর স্থানীয় প্রতিবেশীরা শম্পা দেবীকে শনাক্ত করেন। ওই মহিলার গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়, মুখ প্লাস্টিকে জড়ানো ছিল। আরও পড়ুন, ট্যাংরা: রহস্যজনক জোড়া খুনে চাঞ্চল্য, শ্বশুর ও পুত্রবধূর মৃতদেহ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলের বিপরীতে একটি তিনতলা বাড়ির ছাদের ঘরে থাকতেন শম্পা চক্রবর্তী। তাঁর স্বামীর নাম ভূপাল চক্রবর্তী (Bhopal Chakraborty)। পেশায় একজন নিরাপত্তারক্ষী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুন করার পর আততায়ী ট্রলিতে করে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করছিল। শনিবার রাত আড়াইটে থেকে ৩ টা পর্যন্ত ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামিচি শোনা যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে- জামাইকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে দেখেন। ঘটনার পর থেকে শম্পাদেবীর স্বামী, মেয়ে ও জামাই পলাতক ছিল।