Anubrata Mandal Contro: শাসকদলের বিধায়কের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক পাঠান, বিস্ফোরক দাবি সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর
শাসকদলের বিধায়কের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বাড়িতে চিকিৎসক পাঠিয়েছিলেন, বিস্ফোরক দাবি করলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু (Buddhadeb Murmu)। বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। এর একদিন আগেই তাঁর বাড়িতে চিকিৎসা করতে আসেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Chandranath Adhikari)। শনিবার সকালে মুর্মু দাবি করেছেন যে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর (MLA Bikash Roy Chowdhury) নির্দেশেই চন্দ্রনাথকে তিনি অনুব্রতর বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন বিকাশ রায় চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতিও।
কলকাতা, ১৩ অগাস্ট: শাসকদলের বিধায়কের নির্দেশেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বাড়িতে চিকিৎসক পাঠিয়েছিলেন, বিস্ফোরক দাবি করলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু (Buddhadeb Murmu)। বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। এর একদিন আগেই তাঁর বাড়িতে চিকিৎসা করতে আসেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী (Chandranath Adhikari)। শনিবার সকালে মুর্মু দাবি করেছেন যে সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর (MLA Bikash Roy Chowdhury) নির্দেশেই চন্দ্রনাথকে তিনি অনুব্রতর বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন বিকাশ রায় চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতিও।
শনিবার সকালে বুদ্ধদেব বলেন, "বুধবার বিকাশ রায় চৌধুরীর কাছ থেকে আমি ফোন পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে যেহেতু অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ, আমাকে তাঁর বাড়িতে একজন ডাক্তার পাঠাতে হবে। মণ্ডল জেলার একজন ভিআইপি, যিনি 'জেড' ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। যেহেতু তিনি সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন না, তাই আমি চন্দ্রনাথ অধিকারীকে বলেছিলাম অনুব্রতর বাড়িতে যেতে।" সাদা কাগজে বিশ্রামের পরামর্শ লিখে দিতে বলার কথা অবশ্য় স্বীকার করে নিয়েছেন বুদ্ধদেব। যদিও এর পিছনে উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, "আমি শুধু অফিসিয়াল লেটারহেড ব্যবহার না করার জন্য বলেছিলাম, যেহেতু তিনি একটি মৌখিক আদেশে কাজ করছেন। কিন্তু আমি কখনই তাঁকে কোনও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দিইনি। একজন ডাক্তার হিসাবে তিনি যা অনুভব করেছিলেন সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়েছিলেন।" আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিকে, বুদ্ধদেব মুর্মুর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, "আমি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে ফোন পেয়েছিলাম যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং ফিসচুলার ব্যথায় ভুগছেন। আমি শুধু মুর্মুকে ফোন করে এই বিষয়টা জানিয়েছিলাম। আমি তাঁকে কিছুই নির্দেশ দিইনি।"