TikTok: বয়কট চাইনিজ অ্যাপ! টিকটক ডাউনলোডের চাহিদা একধাক্কায় কমল ৫০ শতাংশ
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জের? মার্চ এবং এপ্রিলে টিকটিক (Chinese video-sharing app TikTok) গ্রাহকের সংখ্যা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতে ৫০ শতাংশ কমেছে ডাউনলোডের চাহিদা। সেন্সর টাওয়ারের (Sensor Tower) সমীক্ষা মারফত এমন তথ্যই মিলছে। তবে ডাউনলোডের চাহিদা কমলেও বিশ্বের দরবারে মে মাসেও এই নন-গেম অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে শীর্ষে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি করোনা বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। এছাড়া ইন্দো-চিন সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হওয়ার জেরে চিনের জনপ্রিয় টিকটকের চাহিদা কমছে দেশে।
নয়াদিল্লি, ৪ জুন: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জের? মার্চ এবং এপ্রিলে টিকটিক (Chinese video-sharing app TikTok) গ্রাহকের সংখ্যা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারতে ৫০ শতাংশ কমেছে ডাউনলোডের চাহিদা। সেন্সর টাওয়ারের (Sensor Tower) সমীক্ষা মারফত এমন তথ্যই মিলছে। তবে ডাউনলোডের চাহিদা কমলেও বিশ্বের দরবারে মে মাসেও এই নন-গেম অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিচারে শীর্ষে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি করোনা বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। এছাড়া ইন্দো-চিন সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হওয়ার জেরে চিনের জনপ্রিয় টিকটকের চাহিদা কমছে দেশে।
সেন্সর টাওয়ারের সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্চ এবং মে মাসের মধ্যে ভারতে অ্যাপেল এবং গুগল প্লে স্টোরে টিকটক অ্যাপের ডাউনলোড ৩৫.৭ মিলিয়ন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ মিলিয়নে। অর্থাৎ হিসেব করলে দাঁড়াচ্ছে তা ৫১ শতাংশ। করোনা সংক্রমণের জেরে চিনের দিকেই একাধিকবার উঠেছিল অভিযোগের আঙুল। চিনা অ্যাপ বয়কটের বার্তায় গর্জে উঠেছিল ভারত। সম্ভবত সেই কারণেই বেজিংকে কোণঠাসা করতে একধাক্কায় জনপ্রিয় অ্যাপের চাহিদা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
শুধু করোনা সংক্রমণই তবে কারণ নয়। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই বিতর্কিত বেশ কিছু টিকটক ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনও ভিডিওতে ধর্মের প্রতি আঘাত আনা হয়েছে আবার কোথাও মহিলাদের সঙ্গে ঘটা কিছু ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড শ্যুট করে দেখানো হয়েছে টিকটকে। তার উপর নরেন্দ্র মোদি বার্তা দিয়েছেন 'আত্মনির্ভরতা' এবং 'লোকাল পে ভোকাল'-র। অর্থাৎ বিদেশী জিনিসের তুলনায় স্থানীয় জিনিসের প্রতি চাহিদা বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। এতে দেশে করোনার জেরে ধসে যাওয়া অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস নরেন্দ্র মোদির। আর এই বিশ্বাসে ভর করেই 'লোকাল পে ভোকাল'-কে আপন করে নিচ্ছে দেশবাসী। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।