Manu Bhaker: জোড়া অলিম্পিক পদকের পরেও মিলল না খেলরত্ন, ক্ষোভে ফেটে পড়ে যা বললেন মানু ভাকের
দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে একই অলিম্পিকে দুটো পদক জয়ের নজির প্যারিসে গড়েছেন মানু ভাকের। চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিকে শ্যুটিংয়ে (১০ মিটার পিস্তলে, ব্যক্তিগত ও মিক্সড) দুটি ব্রোঞ্জ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন হরিয়ানার তারকা শ্য়ুটার মানু।
দেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে একই অলিম্পিকে দুটো পদক জয়ের নজির প্যারিসে গড়েছেন মানু ভাকের (Manu Bhaker)। চলতি বছর প্যারিস অলিম্পিকে শ্যুটিংয়ে (১০ মিটার পিস্তলে, ব্যক্তিগত ও মিক্সড) দুটি ব্রোঞ্জ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন হরিয়ানার তারকা শ্য়ুটার মানু। কিন্তু আন্তর্জাতিক খেলার সর্বোচ্চ মঞ্চে এত বড় সাফল্যের পরেও চলতি বছর খেলরত্ন পুরস্কারে জন্য মানু ভাকেরের নাম বিবেচিত হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কারে আবেদনের পরেও তার নাম মনোনিত না হওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ২২ বছরের মানু ভাকের। খেলরত্ন না পাওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানুর বাবা বড় দাবি করলেন।
"আমার অলিম্পিকে খেলতে যাওয়া উচিত হয়নি: মানু ভাকের"
রাম কিষাণ ভাকের জানালেন, তার মেয়ে মানু ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, আমার অলিম্পিকে খেলতে যাওয়া,দেশের জন্য পদকও পাওয়া উচিত হয়নি।"খেলরত্ন পাওয়ার জন্য নিয়ম মেনে মানু পোর্টালবের মাধ্যমে আবেদনও করেছিলেন বলে তার বাবা জানিয়েছেন। পাশাপাশি শ্যুটিং ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও মানুকে খেলরত্ন দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আলোচনা করেছিল বলে তিনি জানান।
কেন বঞ্চিত মানু!
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্যারিস অলিম্পিকে দুটো পদক জেতা ও একটি বিভাগে চতুর্থ হওয়া মানুর তো স্বাভাবিক নিয়মেই দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান পাওয়ার কথা। পিভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, সাক্ষী মালিকরা অলিম্পিকে পদক জিতে দেশে ফিরে খেলরত্ন পান। বিরোধীদের অভিযোগ, অলিম্পিকে পদক জয়ের পর দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে সমর্থন করা ও রাহুল গান্ধী এবং হরিয়ানায় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই মানু-কে দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মান থেকে বঞ্চিত করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
মানু ব্যতিক্রম
২০২১ টোকিও অলিম্পিকের পর পদক জয়ী সবাইকেই খেলরত্ন দেওয়া হয়েছিল। সেবার খেলরত্ন পান সোনা জয়ী নীরজ চোপড়া, রুপো জয়ী কুস্তিগীর রবী দাহিয়া, ব্রোঞ্জ জয়ী বক্সার বরগোঁহাই, ব্রোঞ্জ জয়ী হকি দলের সদস্য পিআর শ্রীজেশকে খেলরত্ন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ টোকিও অলিম্পিকের পর খেলরত্ন দেওয়া হয়েছিল পদকজয়ী দুই ক্রীড়াবিদ পিভি সিন্ধু ও সাক্ষী মালিকের পাশাপাশি জিমন্যাস্টিকে চতুর্থ হওয়া দীপা কর্মকার এবং শ্যুটার জিতু রাই-কেও। কিন্তু মানুর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল।
খেলরত্ন পাচ্ছেন কারা
প্যারিস অলিম্পিকে পদকজয়ী হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং ও প্যারালিম্পিক্সে হাইজাম্পে সোনা ও রুপো জয়ী প্রবীন কুমারের নাম খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন করা হয়। ১২ জনের মধ্যে থেকে হরমনপ্রীত সিং ও প্রবীন কুমারকে চলতি বছর খেলরত্নের জন্য বেছে নেওয়া হয়।