Shoaib Akhtar: 'আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে', দানিশ কানেরিয়া বিতর্কে পাল্টি খেলেন শোয়েব আখতার
পাল্টি খেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। দানিশ কানেরিয়াকে (Danish Kaneria) নিয়ে তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে এবার দাবি করলেন তিনি। হিন্দু (Hindu) হওয়ার কারণে প্রাক্তন লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়াকে পাকিস্তান দলে অনেকেই চাইতেন না, তাঁর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শোয়েব বলেন, তাঁর কথাকে ভুল বোঝা হয়েছে। তিনি বলেন, কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করে রাখার সংস্কৃতি কখনই পাকিস্তান দলে ছিল না। বৃহস্পতিবার শোয়েব বলেছিলেন, পাকিস্তান দলে অনেকেই দানিশ কানেরিয়াকে চাইতেন না তিনি হিন্দু বলে। শোয়েবের বক্তব্যের পরে দানিশও জানান, তাঁকে কয়েকজন ক্রিকেটার পছন্দ না করলেও ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে কেউ চাপ দেয়নি। এদিকে শনিবার প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক (Inzamam-ul-Haq) বলেন, তাঁর অধিনায়কত্বে খেলার সময় তিনি দানিশের প্রতি এমন ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেননি। তিনি বলেন, "আমি কখনও এমন কিছু অনুভব করিনি। আর দানিশ আমার নেতৃত্বেই বেশি খেলেছে। মুসলিম নয় বলে কেউ ওর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে বলে মনে করি না। আমাদের দলে এমন একটা ঘটনার কথাও মনে পড়ছে না।"
করাচি, ২৯ ডিসেম্বর: পাল্টি খেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। দানিশ কানেরিয়াকে (Danish Kaneria) নিয়ে তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে এবার দাবি করলেন তিনি। হিন্দু (Hindu) হওয়ার কারণে প্রাক্তন লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়াকে পাকিস্তান দলে অনেকেই চাইতেন না, তাঁর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শোয়েব বলেন, তাঁর কথাকে ভুল বোঝা হয়েছে। তিনি বলেন, কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা করে রাখার সংস্কৃতি কখনই পাকিস্তান দলে ছিল না। বৃহস্পতিবার শোয়েব বলেছিলেন, পাকিস্তান দলে অনেকেই দানিশ কানেরিয়াকে চাইতেন না তিনি হিন্দু বলে। শোয়েবের বক্তব্যের পরে দানিশও জানান, তাঁকে কয়েকজন ক্রিকেটার পছন্দ না করলেও ধর্মান্তরিত হওয়ার ব্যাপারে কেউ চাপ দেয়নি। এদিকে শনিবার প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক (Inzamam-ul-Haq) বলেন, তাঁর অধিনায়কত্বে খেলার সময় তিনি দানিশের প্রতি এমন ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেননি। তিনি বলেন, "আমি কখনও এমন কিছু অনুভব করিনি। আর দানিশ আমার নেতৃত্বেই বেশি খেলেছে। মুসলিম নয় বলে কেউ ওর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে বলে মনে করি না। আমাদের দলে এমন একটা ঘটনার কথাও মনে পড়ছে না।"
রবিবার শোয়েব তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। পরে সেই ভিডিয়ো টুইট করে তিনি লেখেন, "দেখছি আমার মন্তব্যকে ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যকে একেবারে ভুল বোঝা হয়েছে। আমি বলতে চেয়েছি পাকিস্তান দলে ১-২ জন কানেরিয়াকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করলেও দলের বাকি সদস্যরাও সেটা মেনে নেননি। শুরুতেই বিনষ্ট করে দেওয়া হয় সেই বৈষম্যের বীজ।" তিনি বলেন, "এটা অলিখিত চুক্তি ছিল যে আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সম্মান করতে হবে। কিন্তু কয়েকজনের এ নিয়ে সংশয় ছিল। এটা আমাদের দলের ব্যবহারবিধিতে ছিল না। মাত্র ১-২ জন খেলোয়াড়ই ছিল। সারা পৃথিবীতেই এমন সাম্প্রদায়িক খেলোয়াড় রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের একটা সমাজ হিসেবে বুঝতে হবে। এগুলি অঙ্কুরেই বিনাশ করা দরকার। আমি ওদের বলেছিলাম ওকে (দানিশ কানেরিয়া) নিয়ে এমন মন্তব্য করলে তোমাদের ছুঁড়ে ফেলে দেব। কেন না এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।" আরও পড়ুন: Arsenal vs Chelsea, Premier League 2019–20 Free Live Streaming: ইংলিশ প্রেমিয়র লীগে আজ আর্সেনাল বনাম চেলসি, এক ক্লিকে জেনে নিন কখন, কীভাবে দেখবেন এই ম্যাচের সম্প্রচার
ভিডিয়োতে শোয়েব দাবি করেন, গত ১০-১৫ বছরে তাঁদের সমাজ অনেক উন্নতি করেছে। মুসলিম, হিন্দু, অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও বাসভূমি পাকিস্তান। শোয়েব বলেছেন, ‘‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কানেরিয়াকে নির্বাসিত করেছে। পাকিস্তান কখনওই কানেরিয়াকে দল থেকে বাদ দেয়নি। ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকায় কানেরিয়াকে নির্বাসিত করেছিল ইসিবি। পাকিস্তান ওর সঙ্গে অন্যায় কিছু করেনি কোনওদিনই।"
এদিকে শনিবার দানিশ কানেরিয়া অভিযোগ করেন, খেলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর পিসিবি (PCB) ও পাকিস্তান সরকার তাকে কোনও রকম সাহায্য করেনি। টুইটারে কানেরিয়া লিখেছেন, "এটা সত্যি যে নিষেধাজ্ঞার পরে এবং স্পট ফিক্সিং নিয়ে স্বীকারোক্তির পরে পাকিস্তান সরকার বা বোর্ডের কাছ থেকে আমি কোনও সমর্থন পাইনি। অন্যদিকে একই পরিস্থিতিতে অন্য খেলোয়াড়রা পিসিবি (PCB)-র সমর্থন নিয়ে দেশের হয়ে খেলেন এবং সম্মানিত হন।" ৩৯ বছরের কানেরিয়া অবশ্য আরও বলেন যে, মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হিন্দু হওয়ার কারণে পাকিস্তানের নাগরিকরা তাঁর বিরুদ্ধে কখনও কোনও বৈষম্য দেখায়নি। তিনি বলেন, "ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জনগণ কখনই আমার সঙ্গে বৈষম্য করেনি। আমি গর্বিত যে আমি পাকিস্তানের হয়ে সততার সঙ্গে খেলেছি। এখন আমার ভাগ্য নির্ধারণ ইমরান খান (Imran Khan) ও পিসিবি-র হাতে।"