Ranji Trophy Final: তিন বছর পর রঞ্জির ফাইনালে বাংলা বনাম সৌরাষ্ট্র , ৩৪ বছর পর ভারতসেরা হওয়ার সুযোগ মনোজদের সামনে

২০২২-র পর ২০২৩। বৃহস্পতিবার থেকে ইডিনে গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির ক্রিকেটের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলা-সৌরাষ্ট্র।

Manoj Tiwari. (Photo Credits: IANS)

২০২২-র পর ২০২৩। বৃহস্পতিবার থেকে ইডিনে গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির ক্রিকেটের ফাইনালে মুখোমুখি বাংলা-সৌরাষ্ট্র। তিন বছর আগে রঞ্জির ফাইনালে বাংলাকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল সৌরাষ্ট্র। এবার সেই হারের শোধ তুলে বাংলার সামনে সুযোগ ৩৪ বছর পর দ্বিতীয়বার রঞ্জি ট্রফি জেতার।

ইন্দোরে প্রথম সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলা। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কর্ণাটককে ৪ উইকেট হারিয়ে ফাইনালে উঠল সৌরাষ্ট্র। প্রথম ইনিংসে সৌরাষ্ট্র ৫০৭ রান তুলে, ১২০ রানের লিড নিয়ে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়েছিল। কিন্তু রবিবার শেষ দিনে কর্ণাটক ২৩৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর ম্যাচ জমে যায়। সরাসরি জিতে ফাইনালে উঠতে সৌরাষ্ট্রর দরকার ছিল ১১৫ রান। কিন্তু ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের মুখে চলে যায় সৌরাষ্ট্র। কর্ণাটকের স্পিনাররা তখন জাঁকিয়ে বসেছেন। সেখান থেকে প্রথম ইনিংসে ডবল সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক অর্পিত ভাসাভাদা ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ফাইনাল তুললেন। ডবল সেঞ্চুরি সহ গোটা ম্যাচে ৩০০ রান করেও করেও হারতে হল কর্ণাটকের অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে।

গত তিনটে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে দু'বার খেলতে চলেছে বাংলা। যদিও গত তিনটে রঞ্জি ফাইনালে হারার রেকর্ড আছে বাংলার। ২০০৬, ২০০৭, ২০২০ রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে হেরে যায় বাংলা। রঞ্জিতে বাংলা মাত্র একবার চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৯ সালে দিল্লিকে হারিয়ে রঞ্জি জিতেছিল সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যারে নেতৃত্বে খেলা বাংলা। সেটাই প্রথম, সেটাই শেষ। আরও পড়ুন-সরাসরি কীভাবে দেখবেন ভারত-পাকিস্তান মহিলাদের বিশ্বকাপের ম্যাচ

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দিল্লিতে টেস্ট ম্যাচে ব্যস্ত থাকায় ফাইনালে সৌরাষ্ট্র পাবে না রবীন্দ্রা জাদেজা, চেতেশ্বর পূজারা ও জয়দেব উনাদকট। বাংলা তেমন পাবে না মহম্মদ সামিকে।

২০২০ রঞ্জির ফাইনালে বাংলাকে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সৌরাষ্ট্র। সেই ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক ছিলেন জয়দেব উনাদকট, ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। বাংলার অধিনায়ক ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সুদীপ চ্যাটার্জি (৮১), মনোজ তিওয়ারি (৩৫), ঋদ্ধিমান সাহা (৬৪), অনুষ্টুপ মজুমদার (৬৩), ও শেষের দিকে অর্ণব নন্দী (৪০ অপরাজিত) দারুণ খেললেও একটুর জন্য সৌরাষ্ট্রের রানকে টপকাতে পারেনি বাংলা।

কীভাবে ফাইনালে উঠল বাংলা

গ্রুপ লিগে বাংলা (সবার শীর্ষে। ৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট)

সরাসরি জয়- উত্তরপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, বরোদা, হরিয়ানার বিরুদ্ধে

প্রথম ইনিংসে এগিয়ে ড্র-হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে

সরাসরি হার- ওডিশার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে হার

কোয়ার্টার ফাইনালে

ঝাড়খণ্ডকে ৯ উইকেট হারিয়ে সেমিতে

সেমিফাইনালে

মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে