Viral Video: কলেজের মধ্যে মারামারি অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
কলজের মধ্যেই অধ্যক্ষকে (Principal) মারধর করা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ অধ্যাপকের (Professor) বিরুদ্ধে। ১৫ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের (Ujjain) নাগুলাল মালভিয়া সরকারি কলেজে (Late Nagulal Malviya Government College)। অধ্য়ক্ষ ও অধ্যাপকের মধ্যে ঝামেলার ভিডিও ধরা পড়ে সিসিটিভি-তে। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। পুলিশ স্বেচ্ছায় অভিযুক্ত অধ্যাপক ব্রহ্মদীপ আলুনের বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ শেখর মেদামওয়ারকে আঘাত করা, অশ্লীল কাজ বা শব্দ এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছে। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
ভোপাল, ১৯ জানুয়ারি: কলজের মধ্যেই অধ্যক্ষকে (Principal) মারধর করা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ অধ্যাপকের (Professor) বিরুদ্ধে। ১৫ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নের (Ujjain) নাগুলাল মালভিয়া সরকারি কলেজে (Late Nagulal Malviya Government College)। অধ্য়ক্ষ ও অধ্যাপকের মধ্যে ঝামেলার ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি-তে। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। পুলিশ অধ্যাপক ব্রহ্মদীপ আলুনের বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ শেখর মেদামওয়ারকে মারধর করা, অপরাধমূলক ভয় দেখানো-সহ নানা অভিযোগ এনেছে।
জানা গিয়েছে, ব্রহ্মদীপ আলুনকে ভোপাল থেকে উজ্জয়ন কলেজে বদলি করা হয়েছিল। কলেজে আসার পর তিনি প্রতিদিন পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে ফেরেন। অধ্যক্ষ বলেন, "আমাদের কলেজে স্বল্প কর্মী। ১৫ জানুয়ারি কলেজে টিকাকরণের আয়োজন করা হয়েছিল। আমি তাঁকে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকেছিলাম। কিন্তু তিনি রেগে যান। আমাকে গালিগালাজ করতে ও ঘুষি মারতে থাকেন। আরও পড়ুন: Kolkata Police: মাস্ক সচেতনায় স্মিথের আজব বোল্ড আউটকে জুড়ে ভাইরাল কলকাতা পুলিশের প্রচার
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোনও একটি বিষয়ে কথা বলতে বলতে অধ্যাপককে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিত করছেন অধ্যক্ষ শেখর। আর তারপরই উত্তেজিত হয়ে ব্রহ্মদীপ টেবিলের ওপাশ থেকে অধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে ঘুষি চালান। মুখ সরিয়ে নেওয়াতে ঘুষি গিয়ে হাতে লাগে। টেবিলের উপরে থাকা খাতা জাতীয় কিছু একটা ছুঁড়েও মারেন। এরপর ব্রহ্মদীপ তেড়ে গিয়ে শেখরকে দেওয়ালে চেপে ধরে আরও মারতে শুরু করেন। হট্টগোল দেখে ঘরের বাইরে থেকে পাঁচজন লোক ঘরে ছুটে আসে এবং মারামারি বন্ধ করে দেয়। যদিও তর্ক চলতেই। অধ্যাপক এরপর তাঁর আসনে বসেন। যদিও, অধ্যাপক তখনও ক্ষিপ্ত, তিনি তখনও চিৎকার করে চলেছেন। আকস্মিক আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া অধ্যক্ষ এরপর ব্রহ্মদীপকে ইশারা করে ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। যদিও, ব্রহ্মদীপ ঘর থেকে চলে যেতে অস্বীকার করে চেয়ারেই বসে থাকেন।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সমস্ত স্টাফ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন ব্রহ্মদীপ। তিনি বলেন, "কলেজে তিনজন অকাল অবসর নিয়েছে। অধ্যক্ষ সমস্ত স্টাফ সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি আমাকে রুমে ডেকে গালিগালাজ করেছেন। এর ফলেই মারামারি হয়েছে।"