গঙ্গাদর্শনে এসে তলিয়ে যাচ্ছে যুবক, হিরোর মতো ঝাঁপিয়ে উদ্ধার পুলিশের(দেখুন ভিডিও)
গঙ্গা দর্শনে এসে গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটেই গিয়েছিল প্রায়, তবে রাখে হরি আর মারে কে। তাইতো বঁচে ফিরলেন হরিয়ানার যুবক বিশাল। তিনি হরিদ্বারে তীর্থ সেরে গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়েছেলেন, এমনিতেই হরিদ্বারের গঙ্গা সবসময় যৌবনমদমত্ত। সেখানে কেউ যদি বেকায়দায় জলে পড়েন, তাহলে ঘোর সাঁতারুর প্রাণ সংশয় হতে পারে। তেমনই অবস্থা হয়েছিল বিশালের। তবে ভাগ্য ভাল বলতে হবে, শেষমুহূর্তে মা গঙ্গাই তাঁর জীবন দান করলেন।
হরিদ্বার, ২২ জুলাই: গঙ্গা দর্শনে এসে গঙ্গাপ্রাপ্তি ঘটেই গিয়েছিল প্রায়, তবে রাখে হরি আর মারে কে। তাইতো বঁচে ফিরলেন হরিয়ানার যুবক বিশাল। তিনি হরিদ্বারে তীর্থ সেরে গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়েছেলেন, এমনিতেই হরিদ্বারের গঙ্গা সবসময় যৌবনমদমত্ত। সেখানে কেউ যদি বেকায়দায় জলে পড়েন, তাহলে ঘোর সাঁতারুর প্রাণ সংশয় হতে পারে। তেমনই অবস্থা হয়েছিল বিশালের। তবে ভাগ্য ভাল বলতে হবে, শেষমুহূর্তে মা গঙ্গাই তাঁর জীবন দান করলেন। তাইতো দেবদূতের মতো এসে পুলিশকর্মী বাঁচালেন বিশালকে। অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে হরিদ্বারের কাংরা ঘাটে। আরও পড়ুন-টানা বৃষ্টিতে ডুবেছে এলাকা, জলযন্ত্রণার খবর দিতে রিপোর্টিং করল এই খুদে(দেখুন ভিডিও)
বিশাল সেখানেই দাঁড়িয়ে গঙ্গাদর্শন করছিলেন। বর্ষার জলে টগবগিয়ে চলেছে গঙ্গা, পাড় তেকে সেই মোহময়ী রূপ দেখে ওই যুবক তখন ভাবের গভীরে। কখন যে পা ফসকে জলে পড়েছেন তখনও বুঝে উঠতে পারেননি। তবে চেতনা ফিরতেই চক্ষু চড়কগাছ, খরস্রোতা গহ্গা তাঁকে টেনে নিয়ে চলেছে। কোনওভাবেই মাটি আঁকড়ে বাঁচতে পারছেন না। প্রতিকূলে সাঁতার কাটা তো অসম্ভব। একটা সময় দিশেহারা হয়ে খাবি খেতে থাকলেন। পাড়েই দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশ কর্মী সানি, তিনি এক মুহূর্তে সময় নষ্ট না করে লাইফ জ্যাকেট পরে দূরন্ত গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। জাপটে ধরেন স্রোতের টানে অসহায়ভাবে ভেসে যাওয়া বিশালকে। তাঁকে টেনে পাড়ে তোলেন ওই পুলিশকর্মী। বেঁচে ফিরেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন বিশাল, যে তিনি বেঁচে আছেন।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের তৎপরতায় ঘটায় এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়েছে। সকলেই ওই পুলিশকর্মীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর লজ্জিত হতবাক, জীবনমৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিশাল ভগবান না মা গঙ্গা কাকে যে ধন্যবাদ জানাবেন বুঝতে পারছেন না। পুলিশকর্মী সানিই যে তাঁর কাছে ঈশ্বরের রূপে এসেছিলেন তানিয়ে কোনওরকম সন্দেহ নেই ওই যুবকের মনে।