এলাকায় ঢুকেছিস তবে রে, বনকর্তাদের তাড়া করে জঙ্গল ছাড়া করল বাঘমামা
ভিডিও ভাইরাল।
‘পায়ে পড়ি বাঘমামা’ বলার আগেই এদিন বাঘের পেটে অদৃশ্য হতে হতে বেঁচে গেলেন দুই বনকর্তা। একেবারে দিনে দুপুরে জঙ্গল লাগোয়া জাতীয় সড়কে বাঘের হানা। বাইকে চড়ে জঙ্গলের সীমানা দিয়ে কর্ণাটক থেকে কেরালায় ফিরছিলেন দুই বনকর্তা। সেই সময় রিয়ার ভিউ মিররেই প্রথম বাইক চালকের নজরে চলে আসে হলুদ কালো ডোরাকাটার হালুম বাবাজি। বাঘ দেখতে মানুষ বনে যায়। আর বাঘ কি না মানুষকে দেখতে রাস্তায় এসেছে? আসেনি, বলুন রীতিমতো ছুটছে। একবার বাইক থেকে হাত ফসকালেই বাঘমামার ডিনার টেবিলটা রাজকীয় হয়ে যাবে। আরও পড়ুন- ছুরিকাঘাতে জখম অন্তঃসত্ত্বা, মায়ের রক্তমাখা দেহের পাশেই চোখ মেলল সদ্যোজাত
তবে মানুষ বলে কথা, বাইক ছেড়ে নার্ভের গুঁতোয় বাঘের ডিনার টেবিলে সার্ভ হতে হবে এতো চলতে পারে না। তাই এক্সিলারেটরে দ্বিগুণ চাপ দিয়ে অতি দ্রুত গতিতে জঙ্গল টপকে সীমান্ত পেরিয়ে গেলেন দুই বনকর্তা। তবে এমন নান্দনিক মৃত্যু হাতছানিকে অস্বীকার করবেন তাতো হয় না। যখন হাতের কাছে প্রযুক্তির দোসর মোবাইল খানা মজুত আছে। তাই বাঘের পেটে যাওয়ার ভয়কে দুচোখে মনের ভিতরে লালন করতে করতেই ভিডিও করে গেলেন। মাত্র কয়েক সেকেণ্ড তাতেই দক্ষিণ রায়ের কাঁপাকাঁপি উপস্থিতি হৃদকম্পকে বাড়িয়ে দেয়। দুচোখ জোড়া ঘন সবুজের মাঝে বাঘ মামা যেন রাজার মতোই এসেছিল। তার এলাকায় অনুপ্রবেশ করে কেউ বাইক হাঁকিয়ে যাচ্ছে, এমন ঘটনা তিনিই বা কেন সহ্য করবেন, তাই তো রক্তারক্তি কাণ্ডতে না গিয়ে তাড়িয়ে পগার পার করে দিলেন। আর দেবেন নাই বা কেন, তার নামেই তো মনুষ্যজাতির আত্মারাম খাঁচা ছেড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়।
এদিকে বাঘ মামার সঙ্গে বনকর্তাদের লুকোচুরির ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা আঁতকে উঠেছে। সবার মুখে একটাই কথা ভাগ্যিস বাইকটি সচল ছিল। নাহলে কী বিপদটাই না ঘটত। কেউ কেউ বলছেন, বনকর্তারা প্রতিদিন কোনও না কোনও হিংস্র জন্তু দেখেই থাকেন, তাইতো তাঁদের নার্ভ এত শক্ত। অন্য কেউ হলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিল, নাহলে নিদেনপক্ষে একটা দুর্ঘটনা না ঘটে যেত না।