World Kidney Cancer Day 2024: প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় কিডনি ক্যান্সার, বিশ্ব কিডনি ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে জেনে নিন এই রোগ সম্বন্ধে বিস্তারিত...
কিডনি ক্যান্সার গুরুতর রোগ, গোটা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর জুন মাসে পালন করা হয় 'বিশ্ব কিডনি ক্যান্সার দিবস'। কিডনি ক্যান্সারের কারণ এবং লক্ষণগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। ২০২৪ সালে ২০ জুন পালন করা হচ্ছে 'বিশ্ব কিডনি ক্যান্সার দিবস'। কিডনি ক্যান্সার সম্পর্কে যতটা সম্ভব মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে এই রোগ সম্পর্কিত তথ্য থাকে এবং সঠিক সময়ে নিজের সাহায্য করতে সক্ষম হয়।
কিডনির কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে হয় কিডনি ক্যান্সার। কিডনি ক্যান্সারের সঠিক কারণ নিয়ে এখনও রয়েছে অনেক ধোঁয়াশা। কিন্তু এমন অনেক কারণ রয়েছে যা বাড়িয়ে দিতে পারে এই রোগের ঝুঁকি। পারিবারিক ইতিহাস, জেনেটিক্স, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ এবং দীর্ঘমেয়াদী ডায়ালাইসিস চিকিৎসা বাড়িয়ে দিতে পারে কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি। শরীরে কিডনি ক্যানসারের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় না, তবে একজন ব্যক্তির কিডনি ক্যানসার হলে প্রস্রাবে রক্তপাত, পিঠে বা বাহুতে রক্তপাতের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যথা, পেট ভারী হওয়ার অনুভূতি, দ্রুত ওজন হ্রাস, ক্লান্তি এবং মাঝে মাঝে আচমকা জ্বর।
প্রথম পর্যায়ে কিডনি ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা সম্ভব, তাই নিয়ম মেনে কিডনি সংক্রান্ত পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়া শরীরে এমন কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় যা আগে কখনও ঘটেনি, তাহলে সিটি স্ক্যান বা এমআরআই এবং বায়োপসির মতো প্রাথমিক চেকআপ করা উচিত। কিডনির ভেতরে টিউমার থাকলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে কিডনি ক্যান্সার ধরা পড়লে শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। কিডনি ক্যান্সার প্রতিরোধ করা না গেলেও একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এর জন্য খাদ্যাভ্যাস এবং ঘুমের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ধূমপান ও মদ্যপান না করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা উচিত, বিশেষ করে যাদের কিডনি ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে।