Important Study On Disease: টকিং থেরাপিতে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি, বলছে সমীক্ষা
যে সমস্ত মানুষ অবসাদ কিংবা ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়ছেন তাঁদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৭২ শতাংশ বেশি।
Important Study On Disease: টকিং থেরাপি কমায় হৃদরোগের নানা সমস্যা। সদ্য এক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সমীক্ষা বলছে, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে টকিং থেরাপির (Talking Therapy) প্রচলন অবসাদ কমাতে সহায়তা করে। এই টকিং থেরাপি কার্ডিয়োভাসকুলার সম্পর্কিত নানা রোগের (Cardiovascular Disease) ঝুঁকি কমায়।
এক ইউরোপিয়ান হেলথ জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মানুষের মধ্যে অবসাদ তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ফলে ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা যদি নিয়মিত টকিং থেরাপির মধ্যে দিয়ে যান তাহলে তাঁদের অবসাদের মাত্রা কমবে। যা তাঁদের কার্ডিয়োভাসকুলার সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকিও কমাবে।
কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ (Cardiovascular Disease) বলতে সাধারণত স্ট্রোক (Stroke) কিংবা হার্ট অ্যাটাকেই (Heart Attack) বোঝায়। বিশ্বে মোট মৃত্যুর অধিকাংশের কারণ হৃদরোগ অথবা স্ট্রোক। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বে ১৮.৬ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে। পূর্বে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যে সমস্ত মানুষ অবসাদ কিংবা ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়ছেন তাঁদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৭২ শতাংশ বেশি।
সমীক্ষা বলছে, মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি যে কোন মানুষকে শারীরিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ করে তুলতে সক্ষম। কোন ব্যক্তি যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকে তাহলে শারীরিক অসুস্থতা তাঁকে কাবু কম করতে পারে। তাই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্যে টকিং থেরাপি অতি আবশ্যিক একটা মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যা তাঁদের মধ্যে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই দাবি করছেন গবেষকরা। তাই অবসাদে না ভুগে আরও কণ্ঠ ছাড়ুন। গ্রহণ করুণ টকিং থেরাপি।