Bankim Chandra Chatterjee Birth Anniversary: আজ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকী, বিখ্যাত ঔপন্যাসিকের সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৭ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র,মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী,বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chatterjee) জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি (Naihati) শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৭ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র,মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী,বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।
তাঁর লেখা সেরা উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে-দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম।
আরও পড়ুন, উপসর্গহীনদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানো বিরল ঘটনা, এই মন্তব্য শুধরে নিয়ে কী বলল হু?
ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আনন্দমঠ’ (১৫ই ডিসেম্বর ১৮৮২) উপন্যাসে বর্ণিত ইসলাম ও মুসলিম উৎখাতের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত ‘অনুশীলন সমিতি’র ‘আদ্য প্রতিজ্ঞা’ ‘মধ্য প্রতিজ্ঞা’ ‘অন্ত্য প্রতিজ্ঞা’, এ সবের কথা বিস্তারিত ছেড়ে দিয়েও ‘অন্ত্য প্রতিজ্ঞা’র এবং ‘বিশেষ প্রতিজ্ঞা’র এক একটি ক্ষুদ্র অংশের উদ্ধৃতি দিচ্ছি। ২ গ্রীক চার্চ রো এক্সটেনশন, কলকাতা ৭০০ ০২৬, এই ঠিকানাস্থিত অনুশীলন ভবন ট্রাস্ট রোড থেকে মহারাজ ত্রৈকোল্যনাথ চক্রবর্তীর স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষে শ্রী দীনেশচন্দ্র ঘটক কর্তৃক প্রকাশিত ‘জেলে ত্রিশ বছর/ ও পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের ২১ শে এপ্রিল ১৯৮১ তারিখে প্রকাশিত পঞ্চম সংস্করণে ১৭ থেকে ১৯ পৃষ্ঠায় অনুশীলন সমিতির সভ্য ও পূর্ব পাকিস্তান সোস্যালিস্ট পার্টির নেতা মহারাজ শ্রী ত্রৈকোল্যনাথ চক্রবর্তী অনুশীলন সমিতির সভ্যদের বিভিন্ন প্রতিজ্ঞা গ্রহণ এবং দীক্ষা গ্রহণ প্রণালীর কথা লিখেছেন ‘অনুশীলন সমিতির গণতন্ত্র প্রতিজ্ঞাপত্র ও দীক্ষা, এই শিরোনামে। সেখানে ‘অন্ত্য প্রতিজ্ঞা’র এক জায়গায় তিনি লিখেছেন,‘আমি সমিতির উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইহার বেষ্টনী পরিত্যাগ করিয়া যাইব না। আমি পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগিনীর স্নেহের মোহ ত্যাগ করিব ।’
১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ (১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ এপ্রিল) তারিখে মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সে সময়ে অবিভক্ত বাংলায় কোনো উন্নত মানের সাময়িকপত্র ছিল না। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ১২৮৩ বঙ্গাব্দে এর প্রকাশ স্থগিত থাকে। ১২৮৪ বঙ্গাব্দ থেকে পত্রিকাটি পুনঃপ্রকাশিত হয় সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়। শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ১২৯০ বঙ্গাব্দের কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত ৪টি সংখ্যার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩১২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন নবপর্যায়ে ৫ বৎসর প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্র রচিত আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কবিতা 'বন্দে মাতরম' ১৯৩৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।