Kali Puja 2019: নিষিদ্ধ হল চিনা বাজি, ফানুসেও আপত্তি কলকাতা পুলিশের

এবার নিষিদ্ধ হল চিনা বাজি (China Firework)। নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। দূষণ (Pollution) এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪টি বাজি। তারমধ্যে পরীক্ষায় পাশ করতে পেরেছে মাত্র পাঁচটি বাজি। যেসব বাজিগুলি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি, তাদের মধ্যে অন্যতম হল চিনা বাজি। তাই পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল এটি।

প্রতীকি ছবি (Photo Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৮ অক্টোবর: এবার নিষিদ্ধ হল চিনা বাজি (China Firework)। নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। দূষণ (Pollution) এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪টি বাজি। তারমধ্যে পরীক্ষায় পাশ করতে পেরেছে মাত্র পাঁচটি বাজি। যেসব বাজিগুলি পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি, তাদের মধ্যে অন্যতম হল চিনা বাজি। তাই পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল এটি।

এমনকী কালী পুজোয় (kali Puja) ফানুস (Parachute) বিক্রিতেও আপত্তি রয়েছে কলকাতা পুলিশের। তবে সেক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি বলেই রয়েছে খবর। উল্লেখ্য, গতবছর ফানুস ওড়ানোয় বিমানবন্দর (Airport) সহ একাধিক এলাকায় সমস্যা দেখা দেয়। ফানুসের আগুন (Fire) থেকে দুর্ঘটনা ঘটে বলেও খবর ছিল। তাই এবার বাজি ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে ফানুস বিক্রি না করার জন্য। কলকাতা পুলিশ ও দমকলের (Fire Brigade) যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও বাজি পরীক্ষা হয় টালা পার্কে (Tala Park)। তবে পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। এদিন কেবল শব্দমাত্রা দেখা হয়েছে। বাজির ধোঁয়া-দূষণের পরিমাপ অধরাই থেকে গিয়েছে। এমনকী, বাজি ব্যবসায়ীরাও এবার আয়োজন নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ টালা পার্কে বাজি পরীক্ষা শুরু হয়। শহরের নানা প্রান্তের বিভিন্ন বাজি বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৩৪ রকমের আতসবাজি নিয়ে পরীক্ষার জন্য আনা হয়। অন্যান্য বছর অবশ্য বাজির সংখ্যা আরও বেশি থাকে। এবার তা তুলনামূলক তা ছিল কম। এদিন যে বাজিগুলি পরীক্ষা করা হয়, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পপিনস, মিনি সাইরেন, ক্যাটএক্স, টিকট্যাক, হোয়াটসঅ্যাপ, অডি, বেঞ্চ, ডিজে ইত্যাদি। যারমধ্যে অনেকগুলিই নির্ধারিত সর্বোচ্চ শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেলের বেশি। তাই এগুলিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩৪ রকমের বাজির মধ্যে পাঁচটি নির্দিষ্ট শব্দমাত্রার মধ্যে রয়েছে। বাকি ছ'ধরনের বাজি ফাটেইনি। আরও পড়ুন: ডেঙ্গু ত্রাসে কাঁপছে দুনিয়া, সতর্ক থাকতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

উল্লেখ্য, গত বছরই নিষিদ্ধ হয়েছে ১০৫টি বাজি। টালা পার্কে পরীক্ষায় 'ফেল' করল আরও ২২ ধরনের বাজি। সেগুলি আর বিক্রি করা যাবে না।

(এই সময় পত্রিকার খবর অনুযায়ী)