Kali Puja 2019: দেবী মাংস ভক্ষণ করেন না; তবুও কেন তাঁকে এই নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়?
আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে কালীপুজো (Kali Puja) হয়। দেবী কালী বা কালিকা হলেন আদ্যাশক্তি। তন্ত্র অনুসারে, কালী দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত দেবীর প্রথমজন। কালী’শব্দটি ‘কাল’শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’বা ‘ঘোর বর্ণ।’হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই (Durga) একটি রূপ। হরিবংশ গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘কাল’শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে একটি ‘নির্ধারিত সময়’অন্যটি ‘মৃত্যু।’কিন্তু দেবী প্রসঙ্গে এই শব্দের মানে "সময়ের থেকে উচ্চতর।" সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, ‘কালী’ শব্দটি ‘কৃষ্ণবর্ণ’বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। প্রকৃত অর্থে কাল বা সময়কে যিনি রচনা করেন তিনিই কালী। দুর্গা পুজোর পর যে কালীপুজো হয় তা হল দীপান্বিতা কালী (Dipanwita Kali)।
আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে কালীপুজো (Kali Puja) হয়। দেবী কালী বা কালিকা হলেন আদ্যাশক্তি। তন্ত্র অনুসারে, কালী দশমহাবিদ্যা নামে পরিচিত দেবীর প্রথমজন। কালী’শব্দটি ‘কাল’শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’বা ‘ঘোর বর্ণ।’হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতে যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই (Durga) একটি রূপ। হরিবংশ গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘কাল’শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে একটি ‘নির্ধারিত সময়’অন্যটি ‘মৃত্যু।’কিন্তু দেবী প্রসঙ্গে এই শব্দের মানে "সময়ের থেকে উচ্চতর।" সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, ‘কালী’ শব্দটি ‘কৃষ্ণবর্ণ’বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। প্রকৃত অর্থে কাল বা সময়কে যিনি রচনা করেন তিনিই কালী। দুর্গা পুজোর পর যে কালীপুজো হয় তা হল দীপান্বিতা কালী (Dipanwita Kali)।
এই কালীর পুজোয় বিভিন্ন উপকরণ নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। পুজোর শুরু হওয়ার আগে অনামিকা আঙুল দিয়ে কালির দোয়াত দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করা হয়। এছাড়া কালীপুজোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো জবা ফুল (Chaina Rose)। প্রধান ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় সোমরস বা মদ (Alcohol)। এছাড়াও ব্যবহার করা হয় - চন্দন ,পুষ্প, ধূপ, দীপ ইত্যাদি। আর ব্যবহার করা পশুর মাংস। আস্ত পাঁঠা বলি হিসেবে উৎসর্গ করতে হয় মাকে। কিন্তু শাস্ত্র বলছে, মা কালী হচ্ছেন শিবের সাধ্বী স্ত্রী। তিনি শিবের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করেন। শিব নিরামিষ ভোজন করে থাকেন। তাই মা কালীও কখনই আমিষাশী নন। তাহলে কেন তাঁর নইবেদ্য হিসেবে পশুর বলি দিতে হয়? শিব এবং কালী দুজনেই যক্ষীনি, ডাইনী ইত্যাদিকে আশ্রয় দিয়ে থাকেন। তারা রক্ত-মাংস ভক্ষণ করে থাকেন। তাই তাঁদের জন্যই পশুর মাংস বলি হিসেবে নিবেদন করা হয় মা কালীকে। আরও পড়ুন: Deepavali 2019: দীপাবলির উপহারের বাক্সে এই ফলগুলি রাখতেই হয় জানতেন?
১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপুজোর বিধান পাওয়া যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় (Krishnachandra Roy) কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাংলার ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)