Uric Acid Control: ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য পান করুন এই শরবত, জেনে নিন এই শরবত তৈরি করার পদ্ধতি...
ইউরিক অ্যাসিড এক ধরনের বর্জ্য পদার্থ। অতিরিক্ত পিউরিন খেলে শরীরে বেড়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড এবং শরীরে ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত হয়ে গেলে গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। হাড়ের জয়েন্টগুলোতে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল জমতে শুরু করে এবং এর ফলে আঙ্গুল ফুলে যায়। এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যা পান করার মাধ্যমে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমানো সম্ভব। এই পানীয় শরীর থেকে নোংরা ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ করতে সাহায্য করে। আদার রস ও লেবু জল ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আদার রস ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। আদার রস সরাসরি খাওয়ার পরিবর্তে আদা দিয়ে চা বানিয়ে পান করা যেতে পারে। এর জন্য চা করার সময় আদার ছোট ছোট টুকরো জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই জল ছেঁকে নিয়ে কাপে নিয়ে হালকা মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। আদা চা পান করলে গাউটের ব্যথা উপশম হয়, ফোলাভাব এবং ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়। এছাড়া লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। লেবুর জল পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। এর জন্য এক গ্লাস হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। লেবু জল পান করলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড অপসারণ হয়।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কফি খাওয়া যেতে পারে। কফি পান করলে নোংরা ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়। কফির মতো গ্রিন টি পান করলে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমে যায়। গ্রিন টি-তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গাউটের কারণে হওয়া ফোলাভাব কমাতে শুরু করে। এছাড়া শসার রস পান করলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। শসার রস শরীর থেকে নোংরা টক্সিন বের করে দেয়। শসার রসের মতো গাজরের রস পান করলেও উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমতে পারে। গাজরের রসে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিন এবং মিনারেল উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমতে সাহায্য করে।