Myopia - Eye Problem: মায়োপিয়া মারাত্মক চোখের সমস্যা, জেনে নিন মায়োপিয়ার কারণ ও লক্ষণ...
বর্তমানে ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের কৃত্রিম আলো বা খাবারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে চোখের ওপর। এক গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা ঝাপসা দৃষ্টির সমস্যায় ভুগবে। ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মায়োপিয়া সমস্যায় ভুগবে। মায়োপিয়া হল অদূরদৃষ্টি, একটি চোখের অবস্থা যেখানে প্রতিসরণজনিত সমস্যার কারণে দূরের বস্তুগুলি ঝাপসা দেখাতে শুরু করে। মায়োপিয়ার প্রভাব ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরের মতো দেশে দৃশ্যমান, যা মায়োপিয়ার রাজধানী হিসেবে পরিচিত। সিঙ্গাপুরে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হচ্ছে ছোট ছোট শিশুদের। প্রায় ৮০ শতাংশ যুবকের মায়োপিয়া আছে সিঙ্গাপুরে। প্রায় প্রতি দ্বিতীয় ব্যক্তি চশমা পরতে বাধ্য হয়েছে এখানে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মায়োপিয়া সমস্যাটি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে সিঙ্গাপুরে। কিন্তু বর্তমানে মায়োপিয়া শুধু সিঙ্গাপুরের সমস্যা নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা হয়ে উঠছে। ভিন্ন জীবনধারা, মোবাইল-ল্যাপটপ থেকে নির্গত নীল আলো কমিয়ে দিচ্ছে চোখের বয়স। আমেরিকার প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৪০ শতাংশ মায়োপিক, এই সমস্যাটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং চীনেও। চীনের শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া সমস্যা দ্রুত বেড়েছে। প্রায় ৭৬ শতাংশ-৯০ শতাংশ শিশুর মধ্যে রয়েছে এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের মতো দেশে মায়োপিয়ার সংখ্যা এখন কম হলেও তা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ মায়োপিয়া সমস্যা রয়েছে ভারতে। এই সমস্যা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না করলে এক সময় এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মায়োপিয়ার লক্ষণগুলি হল দূরের জিনিসগুলি ঝাপসা দেখা, চোখে ফোকাসের অভাব, চোখে ক্লান্তি ও উত্তেজনা এবং ঘন ঘন মাথাব্যথা হওয়া। মায়োপিয়ার কারণ হল চোখের উপর চাপ, স্ক্রিনে বেশি সময় দেওয়া, দীর্ঘ সময় বাড়িতে বা অফিসে থাকা, পারিবারিক ইতিহাস এবং ডায়াবেটিস। তবে মারোপিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে। এই চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ বদ্ধ ঘরে না থেকে বাইরের ক্রিয়াকলাপ বাড়াতে হবে, পার্ক বা বাগান বা সবুজ অঞ্চলে সময় কাটাতে হবে। যতটা সম্ভব স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিতে হবে। অ্যান্টি-গ্লেয়ার বা নীল রঙের চশমা পরে স্ক্রিনের সামনে বসা এড়িয়ে চলা উচিত। খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করতে হবে। সূর্যের আলোতে বেশি সময় কাটানো যাবে না। ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত।