Motion Sickness: মোশন সিকনেস কি? জেনে নিন কাদের মোশন সিকনেসের ঝুঁকি বেশি এবং এর প্রতিরোধ সম্বন্ধে...
মোশন সিকনেস ট্রাভেল সিকনেস নামেও পরিচিত। গাড়ি, বাস, নৌকা বা বিমানের মতো যানবাহনে চাপলে বা ভ্রমণের সময় মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়ার মতো সমস্যা হলে তাকে মোশন সিকনেস বলে। মোশন সিকনেসের প্রধান কারণ হল মস্তিষ্কের সংবেদনের ভারসাম্যহীনতা। চলমান যান বা বস্তুতে থাকাকালীন চোখ একটি স্থির দৃশ্য পায়, তবে কান এবং শরীরের অন্যান্য ইন্দ্রিয়গুলি গতি অনুভব করে, এই ভারসাম্যহীনতা মস্তিষ্কে বিভ্রান্তি তৈরি করে, যার ফলে সৃষ্টি হয় মোশন সিকনেস।
মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ চলমান থাকার কারণে অল্পবয়সী শিশুদের মোশন সিকনেসের ঝুঁকি বেশি থাকে। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শিশু এবং মহিলাদের মোশন সিকনেসের প্রবণতা বেশি। এছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলেও মোশন সিকনেসের ঝুঁকি বেশি। বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেও মোশন সিকনেসের সমস্যা দেখা যায়। মোশন সিকনেস প্রতিরোধে ভ্রমণের সময়, সম্ভব হলে চালকের আসনের কাছে বা বিমানের ডানার কাছে বসা উচিত। ভ্রমণের সময় গাড়ির খোলা জানালা বা এসি সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, এর ফলে স্বস্তি অনুভব হয়।
ভ্রমণের সময় বই পড়া বা মোবাইলে গেম খেলা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি মস্তিষ্ককে আরও বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে এই সময় গান শোনা বা হালকা কথোপকথন করা যেতে পারে। এছাড়া যাত্রা শুরু করার আগে ভারী ও মশলাদার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। প্রায়শই মোশন সিকনেসে ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আদা চা পান করলে এই সমস্যা কম দেখা দেয়। আদা চায়ের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ছোট ছোট জিনিসের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে মোশন সিকনেস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।