ঘরোয়া উপায়ে পেটের মেদ কমাতে চান, এই পানীয়র জুড়ি মেলা ভার
মধু-লেবুর জলে শরীর টোনড হয়।
আজকালকার দিনে কেউই আর মোটা হতে চান না, স্লিমট্রিম থেকে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করতে সবাই উদগ্রীব। সেজন্য ব্যায়াম থেকে শুরু করে যোগা, হাঁটাহাঁটি এমনকী জিমে গিয়ে বাড়তে মেদ ঝড়িয়ে ফেলা। কত কীই না চলছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আমাদের জীবনযাত্রাতেও বড়সড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। অফিসে কাজের চাপ, প্রজেক্টের স্ট্রেস, সাংসারিক চাপ, নিজের জন্য সময় বলতে দিনের শেষে আর কিছুই বাঁচে না। বেঁচে থাকার ইঁদুর দৌড়ে তাল মেলাতে গিয়ে কখন যে পেটে চর্বি জমতে শুরু করেছে খেয়ালই করেননি। আরও পড়ুন- ব্যস্ততার যুগে চোখকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
এদিকে ফিগার কনশাস হওয়ার জন্য তেমন যে আহামরি খাওয়াদাওয়া করেন তাও নয়। তবে এমনটা হল কী করে? সে যাইহোক এহেন উপরি পাওনাতে আপনি যে মোটেও খুশি হননি তা ভালমতো বোঝা যাচ্ছে। তবে কী আর করা যাবে সমাধানের রাস্তা তো একটাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা ও শরীরচর্চা করা। তবে ঘরোয়া উপায়েও ঝরিয়ে ফেলতে পারেন পেটের মেদ। সেজন্য মধু-লেবুর জল খেতে পারেন। ফুটন্ত জলের সঙ্গে মধু ও লেবুর রস যোগ করে খেলে পেটের মেদ কমবে। তবে এনিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে।তবে মধু বাস্তবিকই ফ্যাট লুজার সঙ্গে শরীরের গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে তা টক্সিন বের করে জলের চাহিদা তৈরি করে। শরীর এতে টোনড হয়।
এই পানীয়টি নিজের মতো করে কিচেনেই বানিয়ে নিতে পারেন। দেড় কাপ জল ফুটতে দিন। সামান্য ফুটে গেলেই দুতিনটি তুলসি পাতা জলে দিয়ে দিন। এরপর আরও বেশ খানিকটা সময় ফুট জলের পরিমাণ কমে এলে তাতে মধু যোগ করে মিনিট খানেক সিমে রেখে নামিয়ে নিন এবার লেবুর রস ফুটন্ত জলের মিশ্রণে দিয়ে দিন। কাজ তো হয়ে গেল, এবার পানের পালা। চায়ের মতো করে সকালে ও বিকেলে এই পানীয় পান করলে দেখবেন অল্পকিছুদিনের মধ্যেই আপনার পেয়ের মেদ ঝরতে শুরু করেছে। নিয়মিত খেলে পুরোপুরি মেদ ঝরে যাবে। শুধু এই পানী. পান করলেই হবে, না নিয়ম করে শরীর চর্চা ও ঘুমের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।