Swami Vivekananda Jayanti 2024: স্বামী বিবেকানন্দ ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী ছিলেন, ২৫ বছর বয়সে তিনি বেছে নেন সন্ন্যাস জীবন
হিন্দী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী, যিনি তাঁর চিন্তা দিয়ে মানুষের চিন্তাধারাকে বদলে দিয়েছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুব দিবসও পালন করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য ছিলেন।
বিবেকানন্দ খুব অল্প বয়সেই সন্ন্যাস জীবন যাপন করা শুরু করেছিলেন। যোগ-বেদান্তের শিক্ষা সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলিকে সচেতন করার কৃতিত্ব স্বামীজিকেই দেওয়া হয়। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯ শতকের শেষের দিকে বিশ্ব মঞ্চে হিন্দু ধর্মের একটি শক্তিশালী কান্ডারি ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত, তিনি নরেন নামেও পরিচিত। খুব অল্প বয়সেই তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন।
স্বামীজী ছোটবেলা থেকেই খুব বুদ্ধিমান ছিলেন। বলা হয় যে তাঁর মায়ের আধ্যাত্মিক প্রভাব এবং তাঁর পিতার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে স্বামীজি জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার ক্ষমতা পেয়েছিলেন। স্বামীজির বাবা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তাঁর পিতামহ দুর্গাচরণ দত্ত সংস্কৃত এবং ফারসি ভাষার একজন পণ্ডিত ছিলেন। ২৫ বছর বয়সে একজন সাধু হয়েছিলেন। পারিবারিক পরিবেশ তার চিন্তাভাবনাকে আলাদা রূপ দিতে সাহায্য করেছিল। নরেন ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো করতে পছন্দ করতেন। তিনি বড় হওয়ার সাথে সাথে তাঁর ব্যবহারিক এবং পৌরাণিক জ্ঞান আরও গভীর হয়ে ওঠে। এবার জেনে নেওয়া তাঁর কিছু অনুপ্রেরণামূলক বাণী...
জীবনে তিনটি আদর্শ চোখ বন্ধ করে মেনে চলার কথা বলেছেন স্বামীজী। 'যারা তোমায় সাহায্য করে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাঁদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।'
খ্রিষ্টের মতো ভাবলে তুমি একজন খ্রিষ্টান, বুদ্ধের মতো ভাবলে তুমি একজন বৌদ্ধ।তোমার ভাবনা, অনুভূতিই তোমার জীবন, শক্তি, জীবনীশক্তি। যতই বুদ্ধি দিয়ে কাজ করো, এগুলি ছাড়া ভগবানের কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
যেকোনও একটা ভাবনা মাথায় আনো। সেই একটা ভাবনাকেই তোমার জীবন করে ফেলো - সেটা নিয়েই ভাবো, সেটা নিয়েই স্বপ্ন দেখো, সেটা নিয়েই বাঁচো। সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে তোমার মস্তিষ্ক, তোমার পেশি, তোমার শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গকে কাজে লাগাও। প্রত্যেকটা ভাবনাকে অন্য ভাবনার থেকে আলাদা করে রাখো। এই পথেই সাফল্য আসবে।
ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।