Netaji Subhas Chandra Bose: নেতাজী ভবন মেট্রো স্টেশন, স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দর, শহরের প্রতিটা কোণায় জড়িয়ে রয়েছে সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি
ভবানীপুরে তাঁর নামে মেট্রো স্টেশন হওয়ার একমাত্র কারণ এখানে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে একটি মিউজিয়াম এবং মেমোরিয়াল হল রয়েছে যা নেতাজী ভবন নামে পরিচিত। কুঁদঘাটে রয়েছে নেতাজী মেট্রো স্টেশন। নেতাজী নগর কলেজ, নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এনএসসি বোস রোড, এন এস রোড। এভাবেই তাঁর স্মৃতিকে জায়গায় জায়গায় আবদ্ধ করে রেখেছে বাংলা। এখনও বিপ্লবের নামে 'কদম কদম বাড়ায়ে যা' গেয়ে ওঠে তরুণ মন। 'দিল্লি চলো' স্লোগানে গরম হয়ে ওঠে রক্ত। তাঁর আদর্শ, সততা ও লড়াই মানুষকে মানুষ বানাতে শেখায়। আজও প্রচুর মানুষ নেতা বলতে শুধু সুভাষচন্দ্রকেই মানেন।
Places In Kolkata Named After Netaji: আজও বাঙালির বিশ্বাস একদিন নেতাজী ফিরবেন। আজ যদি তিনি বেঁচেও থাকেন তাঁর বয়স হত ১২৩। স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অন্যতম নাম নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস (Netaji Subhas Chandra Bose)। ওড়িশার কটক শহরে ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোট থেকেই তাঁর জীবন, আদর্শে দেশপ্রেমের ভাব ফুটে ওঠে। সাহেবি সংস্কৃতি তিনি কোনওদিন মেনে নিতে পারেননি। আর সেই থেকে তাঁর মধ্যে স্বাধীনতার জেদ চাপে।
সুভাষচন্দ্র পরপর দু-বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি (Congress President) হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত এবং কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজির (Gandhiji) অহিংসার নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন। সুভাষচন্দ্র 'অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক' নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় ভারতীয়দের ওপর ব্রিটিশদের পাশবিক অত্যাচারে অতিষ্ট দেশবাসী। ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতকে উদ্ধার করতে তিনি স্বাধীনতার বদলে রক্ত চেয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও রয়েছে ধোঁয়াশা। মুখার্জি কমিশনের মতে, তাঁর মৃত্যুর কোনও যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই গুমনামি বাবা হিসেবে নেতাজীকে মেনে নিয়েছিলেন অনেক মানুষই। আজ তাঁর শুভ জন্মবার্ষিকীতে (Netaji Birth Anniversary) রইল সশ্রদ্ধ প্রণাম। আরও পড়ুন, মসজিদে বিয়ে হবে হিন্দু যুগলের, খরচ জোগাবে মুসলিম সংগঠন
নেতাজীকে হারানোর দুঃখ ভুলতে পারেনি দেশের জনগণ। পশ্চিমবঙ্গ তথা শহর কলকাতা তো তাঁকে সর্বাঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছে। তাই তাঁর স্মরণে শহর কলকাতার প্রতিটা কোণায় তৈরি হয়েছে রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট ইত্যাদি। নেতাজীর কথা মনে করলেই সবার আগে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের নেতাজীর মূর্তির কথা মনে পড়বেই। এর থেকে কিছুটা এগিয়ে বিধান সরণির দিকে রয়েছে একটি তেলেভাজার দোকান। নাম লক্ষ্মীনারায়ণ সাউ (Laxmi Narayan Shaw)। এখানে তিনি প্রায় আসতেন। তাঁর স্মরণে দোকানের সামনে রয়েছে মূর্তি এবং ২৩ শে জানুয়ারি তাঁর জন্মদিনে বিনামূল্যে বিক্রি করা হয় চপও। দমদমে অবস্থিত কলকাতার বিমানবন্দরটি নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামানুসারে, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Subhas Chandra Bose International Airport)। ধর্মতলায় তাঁর নামানুসারে রয়েছে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম। এমনকি শহরে দুটি মেট্রো স্টেশনের নাম রাখা হয়েছে সুভাষচন্দ্রের নামানুসারে।
ভবানীপুরে তাঁর নামে মেট্রো স্টেশন হওয়ার একমাত্র কারণ এখানে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে একটি মিউজিয়াম এবং মেমোরিয়াল হল রয়েছে যা নেতাজী ভবন (Netaji Bhavan Metro Station) নামে পরিচিত। কুঁদঘাটে রয়েছে নেতাজী মেট্রো স্টেশন। নেতাজী নগর কলেজ, নেতাজী সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সুভাষ সরোবর, এনএসসি বোস রোড, এন এস রোড। এভাবেই তাঁর স্মৃতিকে জায়গায় জায়গায় আবদ্ধ করে রেখেছে বাংলা। এখনও বিপ্লবের নামে 'কদম কদম বাড়ায়ে যা' গেয়ে ওঠে তরুণ মন। 'দিল্লি চলো' স্লোগানে গরম হয়ে ওঠে রক্ত। তাঁর আদর্শ, সততা ও লড়াই মানুষকে মানুষ বানাতে শেখায়। আজও প্রচুর মানুষ নেতা বলতে শুধু সুভাষচন্দ্রকেই মানেন।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)