Independence Day of India: ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবসের আগে ফিরে দেখা, ১৫ আগস্টের ঐতিহাসিক তাৎপর্য
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day of India)৷ খুব ধুমধামের সঙ্গে দিনটির উদযাপন হয় দেশজুড়ে৷ এই দিনে সেই সব মহান দেশনেতাদের স্মরণ করা হয় যাঁদের রক্ত, ঘামের বিনিময়ে ব্রিটিশের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ৷
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Independence Day of India)৷ খুব ধুমধামের সঙ্গে দিনটির উদযাপন হয় দেশজুড়ে৷ এই দিনে সেই সব মহান দেশনেতাদের স্মরণ করা হয় যাঁদের রক্ত, ঘামের বিনিময়ে ব্রিটিশের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ৷ দেড়শো বছরের কলোনি শাসন ছেড়ে ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট ভারত ত্যাগ করে ব্রিটিশরা৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরম আত্মবলিদানকে স্মরণ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলনও করা হয় এই দিনটিতে৷ সামনেই ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবস৷ তার আগে এই দিনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আজকের আলোচ্য বিষয়৷
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস
ইতিহাসের পাতায় ফিরে দেখার শুরু হল৷ ১৬১৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে গুজরাটের সুরাট বন্দরে আসে ব্রিটিশরা৷ এরপর অচিরেই বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে বদলে গেলে প্রায় ১০০ বছর ভারত শাসন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি৷ এই শাসন আপামর ভারতীয়কে বিদ্রোহী করে তোলে৷ বিদেশি শাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে দেশজুড়ে শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন৷ দেশের স্বাধীনতার জন্য দিনের পর দিন চলেছে সংগ্রাম৷ যার নেতৃত্ব দিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিং, আবদুল কালাম আজাদ, বাঘা যতিন-সহ আরও অনেকে৷ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে সেই সময় ভারতের আট থেকে আশি প্রচুর আত্মত্যাগ করেছে৷ এমনকী সরকার বাহাদুরের লোভনীয় চাকরি ছাড়তে মুহূর্তও নষ্ট করেনি৷ ইংরেজ ভার ছাড়ো এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ ১৯৪৭-এর শুরুতে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে যে ১৯৪৮-এর জুনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ভারত ছেড়ে ইংরেজ চলে যাবে৷
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য
ভারতের আগামী প্রজন্ম যাতে স্বাধীনদেশে বসবাস করতে পারে সেজন্য ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে চরম আত্মত্যাগ করেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা৷ সেইসব সুসন্তানদের আত্মত্যাগ স্মরণের দিন ১৫ আগস্ট৷ এটি একটি সরকারি ছুটির দিন৷ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করা হয়৷ এই দিনের স্মরণে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্টে দিল্লির লালকেল্লার লাহোরি গেটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন৷ সেই থেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীরা পরম্পরা মেনে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে আসছেন৷
হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামীর রক্ত ঘামের বিনিময়ে তৈরি হয়েছিল ভারতের উন্নয়নের পথ৷ যে পথে দেশ ততরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে৷ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উন্নয়ন সবেতেই নতুন প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে দেশ৷ অদূর ভবিষ্যতে এই অগ্রগতি ভারতকে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে এক সারিতে বসাবে৷ শিক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, পরিকাঠামো এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ইতিহাসে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে ভারত৷ দুর্বল অর্থনীতি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে ওঠার নেপথ্যে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতিসাধন করেছে ভারত৷ তাই তো বিশ্বসভায় আজ তার মর্যাদাই আলাদা৷ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ঘাম আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মূল্যায়ণকে প্রাধান্য দিয়েছে দেশের কিছু কৃতি সন্তান৷ সেই গৌরবোজ্জ্বল পথেই তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে সভ্যতার জয়রথ৷ আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সেই সেরা সন্তানদের স্যালুট করি যাঁরা দেশকে স্বাধীন করতে মরণ পণ লড়েছিলেন৷