Laxmi Puja 2019: বিভেদের মধ্যেও আজও বর্তমান হিন্দু- মুসলিম নির্বিশেষে লক্ষ্মীপুজো
ধর্ম নিয়ে বিভেদ বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কিছু নয়। মন্দির হবে না মসজিদ হবে এই নিয়ে দেশজুড়ে টানাপোড়েন। ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বললে কোথাও হোঁচট খেতে হয়। বিভেদের মধ্যে একতার প্রকাশ এখন বিরল ঘটনা। তবে এরকমই এক বিরল ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদা গ্রাম। সেখানে লক্ষীপুজো বেশ জাঁকজমকভাবে পালিত হয়। এখানে ফেজ মাথায় দিয়ে পুজোয় অংশ নেন মুসলিমরা। এখানে ফেজ মাথায় দিয়ে পুজোয় অংশ নেন মুসলিমরা।
কাটোয়া, ১৩ অক্টোবর: ধর্ম নিয়ে বিভেদ বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কিছু নয়। মন্দির হবে না মসজিদ হবে এই নিয়ে দেশজুড়ে টানাপোড়েন। ধর্মনিরেপক্ষ রাষ্ট্র বললে কোথাও হোঁচট খেতে হয়। বিভেদের মধ্যে একতার প্রকাশ এখন বিরল ঘটনা। তবে এরকমই এক বিরল ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের শিবদা গ্রাম। সেখানে লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Puja) বেশ জাঁকজমকভাবে পালিত হয়। এখানে ফেজ মাথায় দিয়ে পুজোয় অংশ নেন মুসলিমরা (Muslims)।
এই গ্রামে দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি ধুমধামভাবে পালিত হয় লক্ষ্মীপুজো। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষিজীবী ও জনমজুর। গ্রামে ২০ থেকে ২২টি লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন হয়। এমনকি সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজোও হয়। এখানে প্রায় ৭০ বছর ধরে শিবদা গ্রামে এই বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে। ক্লাবের তৈরি করা পাকা মন্দিরে লক্ষীপুজো হয়। পুজো ঘিরে তিন-চারদিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রাপালা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়। বসে মেলা আরও কত কী! আরও পড়ুন, কোজাগরী লক্ষী পুজোর তাৎপর্য জানা আছে! না জানলে লক্ষী পুজোর সকালেই জানুন এক ক্লিকে
তবে এই পুজোয় কোনো হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ থাকেনা। তাঁদের একটি পুজো কমিটিতে হিন্দু- মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন রয়েছেন। দুর্গাপুজোর থেকেও লক্ষ্মীপুজোয় তারা বেশি আনন্দ করেন। এধরণের বিরল ঘটনা মনে করিয়ে দেয় কিসের জন্য এতো লড়াই? করা করে এত লড়াই? ধর্মনিরপেক্ষতা হারিয়ে যায়নি, তাও কীভাবে হয় হানাহানি।