Bharat Bandh: রাস্তায় চলছে গাড়ি, খোলা দোকানপাট; বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় পড়েনি ভারত বনধের প্রভাব
বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় (Tripura) পড়ল না কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের ছায়া। আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই এদিন রাস্তায় নেমেছে যানবাহন। রাজ্যজুড়ে দোকানপাট, বাজার, শপিংমল সবই খোলা। সরকারি অফিসেও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ব্যাংক-সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও স্বাভাবিক নিয়মে সব কাজ চলছে। সাম্প্রতিক কালে তিন কৃষি আইন বলবৎ করেছে কেন্দ্র। এই আইনের গেরোয় কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত নয় বরং কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন দাবি তুলে আগেই সংসদের সরব হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
আগরতলা, ৮ ডিসেম্বর: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় (Tripura) পড়ল না কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের ছায়া। আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই এদিন রাস্তায় নেমেছে যানবাহন। রাজ্যজুড়ে দোকানপাট, বাজার, শপিংমল সবই খোলা। সরকারি অফিসেও ১০০ শতাংশ উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। ব্যাংক-সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও স্বাভাবিক নিয়মে সব কাজ চলছে। সাম্প্রতিক কালে তিন কৃষি আইন বলবৎ করেছে কেন্দ্র। এই আইনের গেরোয় কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত নয় বরং কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন দাবি তুলে আগেই সংসদের সরব হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গত সেপ্টেম্বরে আইন প্রণয়নের পর থেকে পথে নেমেছেন পাঞ্জাব হরিয়ানার কৃষকরা। আরও পড়ুন-Kriti Sanon COVID-19 Infected: নিতু কাপুর, বরুণ ধাওয়ানের পর এবার করোনা আক্রান্ত কৃতি শ্যানন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে পজিটিভ রিপোর্ট
গত ১২ দিন ধরে দিল্লিতে চলছে অবস্থান। বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠনের নেতৃত্বে হাজা হাজার কৃষক দিল্লিতে ঢুকতে না পেরে রাজধানীর বিভিন্ন সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তিন নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্র। এই দাবি তুলে আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, এনসিপি, আম আদমি পার্টি ও বিভিন্ন বাম দলগুলি এই আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছে। বনধের সমর্থনে পথে নেমেছেন এই সব রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা। তবে কৃষি আইনের বিরোধিতা করলেও তৃণমূল কংগ্রেস বনধের রাজনীতিতে বিস্বাস করে না। তাই আজকের বনধে মমতা দলকে দেখা যায়নি।
এদিকে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন বনধ পালিত হলেও ত্রিপুরার ছবি একেবারেই উল্টো কথা বলেছে। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের তত্ত্বাবধানে গোটা ত্রিপুরা আপাতশান্ত। ভারত বনধকে ঘিরে সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দূরে যাক, বনধ যে চলচে তাই বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের কাছেও কোনও হিংসা, অশান্তির খবর নেই।এককথায় কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের প্রভাবের ছিটেফোঁটাও পড়েনি ত্রিপুরায়।