ITM Gorakhpur: সেনা ও পুলিশকর্মীদের বাঁচাতে পড়ুয়াদের নয়া কীর্তি, তৈরি গুলি চালাতে সক্ষম হেলমেট

সেনা ও দেশের সুরক্ষার কাজে মোতায়েন বিভিন্ন নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য তৈরি বিশেষ এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত হেলমেটটিতে একটি জিপিএস ট্র্যাকারও লাগানো আছে। এর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে সমস্ত দিকে গুলি চালানোর ক্ষমতা থাকছে এতে।

(Photo Credits: ANI)

গোরখপুর: ফের নয়া নজির গড়ল ভারতীয় পড়ুয়ারা (Indian Students)। সেনা (Soldiers) ও পুলিশকর্মীদের (Policemen) জন্য বিশেষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেসড অটোমেটিক ফায়ারিং হেলমেট (Special Artificial Intelligence based firing helmet) বানিয়ে, দেশের সীমান্তে ও ভেতরে আমাদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন মানুষগুলিকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরখপুরের (Gorakhpur) ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্টের (Institute of Technology and Management) পড়ুয়ারা। উন্নতমানের প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এই হেলমেটটি ব্যবহার করতে পারবেন অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরাও।

এপ্রসঙ্গে গোরখপুর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্টের অধিকর্তা (ITM's Director) এন কে সিং (NK Singh) বলেন, "সেনা ও দেশের সুরক্ষার কাজে মোতায়েন বিভিন্ন নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য তৈরি বিশেষ এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সযুক্ত হেলমেটটিতে একটি জিপিএস ট্র্যাকারও (GPS tracker) লাগানো আছে। এর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে সমস্ত দিকে গুলি চালানোর ক্ষমতা থাকছে এতে। হেলমেটটিতে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা ফটো (photos) ও ভিডিয়ো (videos) পাঠানোর ব্যবস্থা থাকছে কন্ট্রোল রুমেও (control room)। সময়োপযোগী স্মার্ট এই হেলমেটটি বানিয়েছে ইনস্টিটিউটের ব্যাচেলার অফ কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন (BCA) ও ব্যাচেলার অফ টেকনোলজির (B.Tech) পড়ুয়ারা। নাম দিয়েছে এআই বেসড অটোমেটিক ফায়ারিং হেলমেট (AI Based Automatic Firing Helmet)।"

অদ্ভুত এই কীর্তির সঙ্গে যুক্ত প্রতিমা গোস্বামী (Prtima Goswami) নামে পড়ুয়া বলে, "আমাদের জওয়ান ও পুলিশকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা এই হেলমেটটি তৈরি করেছি। সীমান্ত এলাকায় ভূমিধস বা বরফ পড়ার কারণে আটকে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে যাতে খুব সহজে যোগাযোগ করা যায় তা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে এটি। হেলমেটটিতে ব্যারেল (barrel), ট্রান্সমিটার (transmitter), রিসিভার (receiver), বুলেট (bullet), এইচডি পোর্টেবেল ডিভিআর (HD portable DVR), ব্যাটারি (battery), সোলার প্যানেল (solar panel), রিমোট (remote), ইন্ডিকেটার (indicator) ও ট্রিগার (trigger) রয়েছে। ব্যারেলটিকে ইলেকট্রিক বন্দুককে (electric gun) পরিণত করেছি আমরা। যাতে তিন থেকে চারটি বুলেট লোড করা যাবে। আর হেলমেটে থাকা ট্রিগার টিপে ফায়ার করা যাবে একের পর এক। ইলেকট্রিক এই বন্দুকটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে। এর ফলে ব্যবহারকারী যে কোনও দিকে গুলি চালাতে পারবেন। এইচডি পোর্টেবল ডিভিআরের মাধ্যমে ঘটনাস্থলের সমস্ত দিকের ফুটেজ রেকর্ড করার পাশাপাশি তিনি পাঠাতে পারবেন সিনিয়র অফিসারদের। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে। ট্রান্সমিন্টারের (transmitter) মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোথায় আছেন তা সহজেই জানতে পারবেন অন্যরা। কাছাকাছি ভূমিধসের (Landslide) সম্ভাবনা থাকলে সেবিষয়ে ব্যবহারকারীকে সর্তকও করবে এটি। আর ইন্ডিকেটার (Indicator) ততক্ষণ পর্যন্ত লাল (red signal) হয়ে জ্বলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না হেলমেটের ব্যবহারকারী (user) তাঁকে সাহায্য করতে আসা ব্যক্তিদের কাছাকাছি আসছেন। নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে এলেই এটি সবুজ (green) হয়ে যাবে।"