UP Rape Shocker: উত্তরপ্রদেশে পুজো দিতে গিয়ে গণধর্ষণে মৃত্যু নির্যাতিতার, যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল রড

দিনের পর দিন মহিলাদের বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর তিনমাস পেরোতে না পেরোতেই ফের যোগীর রাজ্যে গণধর্ষণের (gang-raped) ঘটনা। বছর ৫০-এর মহিলাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল রড। তারপর আর রক্তপাত বন্ধ না হওয়াতেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বদাঁয়ু জেলার উঘৈতি এলাকায়। রবিবার সেখানকার এক মন্দিরে পুজো দিতে যান মধ্যবসয়ী ওই মহিলা। তবে তিনি পুজো দিয়ে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করে পরিবারের লোকজন।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Image)

লখনউ, ৬ জানুয়ারি: দিনের পর দিন মহিলাদের বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর তিনমাস পেরোতে না পেরোতেই ফের যোগীর রাজ্যে গণধর্ষণের (gang-raped) ঘটনা। বছর ৫০-এর মহিলাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল রড। তারপর আর রক্তপাত বন্ধ না হওয়াতেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বদাঁয়ু জেলার উঘৈতি এলাকায়। রবিবার সেখানকার এক মন্দিরে পুজো দিতে যান মধ্যবসয়ী ওই মহিলা। তবে তিনি পুজো দিয়ে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজখবর শুরু করে পরিবারের লোকজন। তখনই জানা যায়, চন্দৌসি এলাকায় পথের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন মহিলা। বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এরপর মৃতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসতেই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের পর মহিলার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় ধর্ষকরা। তার জেরে রক্তপাত আর বন্ধ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই নির্যাতিতার প্রাণ গিয়েছে। মহিলার বুকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করায় পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। একটি পা-ও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় মহন্ত বাবা সত্যনারায়ণ, তার সহযোগী বেদরাম এবং গাড়ির চালক জসপালের দিকে। এদের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে একজন পলাতক। এই সত্যনারায়ণ সংশ্লিষ্ট মন্দিরের পুরোহিত কি না তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পেয়েও এফআইআর নিতে রাজি হয়নি উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসার রবেন্দ্রপ্রতাপ সিং। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, রবিবার রাতে ঘটনা ঘটেছে আর ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে সোমবার বিকেলে। এমনকী ঘটনাস্থলে যেতেও নারাজ ছিলেন ওই পুলিশকর্তা। দায় সারতে নির্যাতিতাকে যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে একবার মুখ দেখিয়ে এসেছেন শুধু। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ভারতে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪ লাখের কাছাকাছি, ১৩ তারিখ থেকে শুরু টিকাকরণ

গোটা ঘটনায় উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসারে গাফিলতির প্রমাণ মিলতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানিয়েছে। ধর্ষকরা গাড়ির মধ্যেই মহিলার উপরে নির্যাতন চালায়। তারপর যখন দেখে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না তখন চন্দৌসি এলাকায় নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তাতেই মত বদল করে নির্যাতিতাকে পথে ফেলে চম্পট দেয়। এমনিতেই হাথরসকাণ্ডের জেরে যোগীর প্রশাসনের মুখ পড়েছে আগেই। ফের উঘৈতিতে পুজো দিতে গিয়ে গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা। এই নারকীয় ঘটনা দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডকে মনে করিয়ে দিয়েছে।