Gujarat: ঘূর্ণিঝড় তৌকতাইতে হারিয়ে ফেলা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন আমেদাবাদের কৃষক, চিরজীবন অন্ধত্বের থেকে মুক্তি

সারাজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েও দৃষ্টি ফিরে পেলেন আমেদাবাদ গির-সোমনাথ জেলার বাসিন্দা নানু সাবালিয়া। ছোট থেকেই এক চোখে দৃষ্টিহীন তিনি। ঘূর্ণিঝড় তৌকতাই কেড়ে নেয় আরেকটি চোখ। ছোট বেলা থেকে এই একটি চোখের ওপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তৌকতাই দৃষ্টি কেড়ে নিলে দিশেহারা হয়ে পড়েন পেশায় কৃষক এই ব্যক্তি। কীভাবে চাষাবাদ করবেন? পরিবারে উপার্জন কীকরে আসবে? চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারও।

চোখ/ প্রতীকী ছবি

আমেদাবাদ, ২৮ জুলাই: সারাজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েও দৃষ্টি ফিরে পেলেন আমেদাবাদ (Ahmedabad) গির-সোমনাথ জেলার বাসিন্দা নানু সাবালিয়া (Nanu Savaliya)। ছোট থেকেই এক চোখে দৃষ্টিহীন (Blind) তিনি। ঘূর্ণিঝড় তৌকতাই কেড়ে নেয় আরেকটি চোখ। ছোট বেলা থেকে এই একটি চোখের ওপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করছিলেন তিনি। তৌকতাই দৃষ্টি কেড়ে নিলে দিশেহারা হয়ে পড়েন পেশায় কৃষক এই ব্যক্তি। কীভাবে চাষাবাদ করবেন? পরিবারে উপার্জন কীকরে আসবে? চিন্তায় পড়ে যায় পরিবারও।

ঘূর্ণিঝড় তৌকতাই যেদিন আছড়ে পড়ে সেদিন ফার্মে নিজের কাজ করছিলেন তিনি। সেসময় প্রবল হাওয়ার দাপটে কোনও ধাতব বস্তু তাঁর চোখে এসে উড়ে পড়ে। যার জেরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে পড়েন অসহায় এই ব্যক্তি। আমেদাবাদের নেত্রালয় হাসপাতালে জটিল অস্ত্রপচারের পর যেন যাদু হয়ে যায়! সারাজীবনের মতো অন্ধ হয়ে যাওয়া সাবালিয়া আবার দৃষ্টি ফিরে পান। আরও পড়ুন, কাশ্মীরের উন্নয়নে সাহায্য, স্কুল তৈরিতে ১ কোটির অনুদান অক্ষয়ের

নেত্রালয় হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ পার্থ রানা সাবালিয়ার বিষয়ে জানান,"কাঁচ জাতীয় কিছু ঢুকে গিয়ে তাঁর কর্নিয়াতে আঘাত লাগে। তারওপর ওনার ছানিও পড়েছিল। চোখ ভয়ানকরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের তিন জন চিকিৎসকের দল বসিয়ে খুব সাবধানতা নিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়।" থ্রি-ডি টেকনোলজি ব্যবহার করে তাঁর চোখের পরীক্ষা করা হয়। এই সুবিধার জন্যই একবারে আমরা অস্ত্রপচার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি, বলে জানান চিকিৎসক।