Jammu & Kashmir: পুলওয়ামায় নাশকতার ছক, সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

সোমবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুলওয়ামায় জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে তল্লাশিতে নামে সেনা। আচমকাই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় সেনা। সেই গুলির লড়াই রাতভর চলার পর সকালেই সেনার এনকাউন্টারে নিকেশ দুই জঙ্গি। খতম জঙ্গিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে, তার নাম ইরফান শেখ। পুলওয়ামায় জঙ্গিদের ঘোরাফেরার খবর পেয়েই সোমবার বিকেলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনা বাহিনী।

জঙ্গি নিকেশ (Photo Credit: ANI)

জম্মু ও কাশ্মীর, ২৬ নভেম্বর:  সোমবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুলওয়ামায় জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়ে তল্লাশিতে নামে সেনা। আচমকাই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় সেনা। সেই গুলির লড়াই রাতভর চলার পর সকালেই সেনার এনকাউন্টারে নিকেশ দুই জঙ্গি। খতম জঙ্গিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে, তার নাম ইরফান শেখ। পুলওয়ামায় জঙ্গিদের ঘোরাফেরার খবর পেয়েই সোমবার বিকেলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনা বাহিনী। আর পালানোর পথ নেই বুঝতে পেরেই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পাল্টা আক্রমণে যায় সেনাবাহিনী। রাতভর লুকোচুরি ও গুলির লড়াইের পর সকালেই নিকেশ দুই জঙ্গি (Terrorist)।

চলতি মাসের গোড়ার দিকে গান্ডেরবালে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি। শ্রীনগর থেকে ৬০ কিলোমিটার দীরে এই গান্ডেরবালের (Ganderbal) গুন্ড গ্রাম। সিআরপিএফের (CRPF) তৎপরতায় সেদিন এক জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। তবে জঙ্গি নিকেশের খবর এলেও এখনও গোটা এলাকাটা ঘিরে রেখে চলছে তল্লাশি। শীত শুরু আগেভাগেই সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক জঙ্গিরা। তবে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই একের পর হামলা ও অনুপ্রবেশের কারণে গোয়েন্দা দপ্তর থেকে সেনা প্রতিটি দপ্তর সতর্ক থাকায় সীমান্তে অনুপ্রবেশের কাজে এঁটে উঠতে পারেনি পাক জঙ্গিরা। তবে শীতকালে যাতে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দৌড়াত্মে গোটা উপত্যকা তটস্থ থাকে তার বন্দোবস্তের পরিকল্পনা সেরেছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিরা। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে এনকাউন্টার, সাতসকালেই সেনার গুলিতে নিকেশ ১ জঙ্গি

তবে এটাই শুরু নয়, বেশ কয়েকমাস ধরেই উপত্যকা জুড়ে নেমে এসেছে বিপর্যয়। একের পর এক অনুপ্রবেশ ও নাশকতা। সীমান্তের ওপার থেকে বার বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি বর্ষণ, কিছুই বাদ যায়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হানার ঘটনায় একই সঙ্গে ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু এযাবৎ কালে সব থেকে বড় নাশকতা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।