আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে পি চিদম্বরম

আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case) তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গত সপ্তাহে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল জামিনের আর্জি জানালে সিবিআই-এর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেই জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল দিল্লি আদালত। তুষার মেহেতা বলেছিলেন, পি চিদম্বরমের অর্থের অভাব নেই, তিনি জামিনে ছাড়া পেলেই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। এরপরেই মামলার মোড় ঘুরে যায়। তাই ফের তিহাড় জেলেই ফিরতে হয় প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে। তবে এবার দিল্লি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন চিদম্বরমের আইনজীবী।

পি চিদম্বরম ও সুপ্রিম কোর্ট(Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ৩ অক্টোবর: আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় (INX Media Case) তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। গত সপ্তাহে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল জামিনের আর্জি জানালে সিবিআই-এর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেই জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল দিল্লি আদালত। তুষার মেহেতা বলেছিলেন, পি চিদম্বরমের অর্থের অভাব নেই, তিনি জামিনে ছাড়া পেলেই বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। এরপরেই মামলার মোড় ঘুরে যায়। তাই ফের তিহাড় জেলেই ফিরতে হয় প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে। তবে এবার দিল্লি আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন চিদম্বরমের আইনজীবী। ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের কাছে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের আবেদন জমা পড়েছে।

এই আবেদন পেয়ে বিচারপতি এনভি রামানার ডিভিশনবেঞ্চ জানিয়েছে, আজকের দিনের মধ্যেই এনিয়ে চূড়ান্ত রায় শোনাবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (CJI Ranjan Gagoi)। সেজন্য পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) জামিনের আবেদনের ফাইল তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছে। গত ২১ আগস্ট রাতে দিল্লির জোড় বাংলোর বাড়ি থেকে চিদম্বরমকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তারপর সিবিআই আদালতের রায়ে চিদম্বরমের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়, তারও বয়স একমাস হয়ে গেল। একমাস ধরে তিহাড় জেলের সাত নম্বর কুঠুরিতে রয়েছেন ৭৪ বছরের কংগ্রেস নেতা। তাঁর শরীর খারাপ হয়েছে তাই ডাক্তারি পরীক্ষা দরকার বলে আইনজীবীদের তরফে আবেদন করা হলেও বিচারক তা গ্রাহ্যের মধ্যে আনেননি। এমনকী কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেনি, জেলরের সঙ্গে কথা বলে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। আরও পড়ুন-‘স্বাধীনতা একটি চিরস্থায়ী সংগ্রামের নাম, ভারত কোন পথে চলেছে?’ গান্ধী জয়ন্তীতে প্রশ্ন তুললেন পি চিদম্বরম

জেলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বালিশ ও চেয়ার কেড়ে নেওয়া হয়, তবুও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি চিদম্বরম। তিনি বলেছেন, দেশের আ্থিক দুরবস্থার কথা তিনি মুহূর্তের জন্যও ভুলে থাকতে পারছেন না। গান্ধী জয়ন্তীতেও একুশ শতকে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। টুইট বার্তায় এ-ও জানতে চেয়েছেন, যে আগামী ঠিক কোন পথ ধরবে ভারত।