Chief EC Sushil Chandra On EVM Tempered Issue: কমিশনের কাছে সব রাজনৈতিক দল সমান, বারাণসীতে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ ওড়ালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র
আজ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ। ঘণ্টা খানেক হল শুরু হয়েছে ভোট গণনার প্রক্রিয়া। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে বারাণসীতে ইভিএমে কারচুপি করেছে বিজেপি।
নতুন দিল্লি, ১০ মার্চ: আজ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ। ঘণ্টা খানেক হল শুরু হয়েছে ভোট গণনার প্রক্রিয়া। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে বারাণসীতে ইভিএমে কারচুপি করেছে বিজেপি। এর নেপথ্যে রয়েছেন সেখানকার অতিরিক্ত জেলাশাসক। অভিযোগ আসতে না আসতেই তৎপরতার সঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসককে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন (Chief EC Sushil Chandra)। আরও পড়ুন-Goa Assembly Election Results 2022: আজ ভোটের ফলাফল, গণনা শুরু হতেই মন্দিরে পুজো দিলেন প্রমোদ সাওয়ন্ত
এবং গণনার সকালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, " ২০০৪ সাল থেকে ক্রমাগত ইভিএম ব্যবহার কার হচ্ছে, ২০১৯- সাল থেকে আমরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্র VVPAT বসাতে শুরু করেছি। তাই EVM কারচুপির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বারাণসীর স্ট্রং রুম থেকে যে EVM গুলি সরানো হয়েছিল সেগুলি প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়েচে, ভোটকেন্দ্রে নয়। ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএম সিল করে রাখা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত জেলাশাসকের একটাই ভুল হয়েছিল, তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের না জানিয়ে ট্রেনিংয়ে ব্যবহৃত EVM স্থানান্তর করেছেন। তবে বিষয়টি এখন মিটে গেছে। "
তিনি আরও বলেন, " ওমিক্রনের ঢেউয়ের কারণে কোভিডি বিধি বলবৎ ছিল। সেই সঙ্গে আদর্শ আচরণ বিধিও লাগু ছিল। আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৫টি রাজ্যেই কোভিড বিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধিও লঙ্ঘিত হয়েছে। সবমিলিয়ে ২ হাজার ২৭০টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের কাছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই সমান।"
"কমিশন আপনার প্রার্থীকে জানুন- নামের যে অ্য়াপটি চালু করেছে তা সফল। কারণ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটার জানতে পারবেন তিনি যে প্রাথীকে নির্বাচিত করতে চলেছেন সেই প্রার্থী আদৌ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কি না। মোট ৬ হাজার ৯০০ প্রার্থী মধ্যে ১৬০০-ও বেশি প্রার্থী অপরাধের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল বা রয়েছে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি রাজ্যের মধ্যে চারটি মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। তবে এক জাতি এক নির্বাচনের প্রস্তাবটি বেশ ভাল। তবে এর জন্য সংবিধানের পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছেন। কমিশন একযোগে ৫ বছরে একবার নির্বাচন করতে সক্ষম ও প্রস্তুত।"