Presidential Election 2022: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানাতে যাননি, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্তকে নিতে বিমানবন্দরে গেলেন কেসি আর
আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এড়িয়ে গেলেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গত ৬ মাস তিনবার হায়দরাবাদে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানাতে হাজির হলেন না কেসি রাও।
হায়দরাবাদ, ২ জুলাই: আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এড়িয়ে গেলেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। গত ৬ মাস তিনবার হায়দরাবাদে বিমানবন্দর প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানাতে হাজির হলেন না কেসি রাও। কিন্তু আজ, শনিবার দেশের ১৭টি বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা-কে স্বাগত জানাতে হাজির হলেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসি আর। যদিও ১৭ দলের বিরোধীদের জোটে ছিলেন না কেসি আর, কিন্তু পরে তিনি যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন জানান।
বার্তাটা খুব পরিষ্কার টিআরএস প্রধান বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে তিনি মমতার মতই কোমর বেঁধে নামছেন। কেসি আর-এর তেলঙ্গনায় এখন চলছে বিজেপি-র কর্মসমিতির বৈঠক। রাজ্যজুড়ে উড়ছে পদ্ম পতাকা। জেপি নাড্ডা থেকে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এখন তেলঙ্গনায় ঘাঁটি গড়েছেন। হায়দরাবাদের রাস্তায় রাস্তায় উড়ছে পদ্ম পতাকা। এর পাল্টা KC Rao বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা-কে নিয়ে হায়দরাবাদ সহ তেলঙ্গনার বিভিন্ন জায়গায় হুডথোলা জিপে ঘুরবেন। যদিও রাষ্ট্রপতি ভোটে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন না। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহা-র জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু বিজেপি-কে 'শিক্ষা' দিতেই কোমর বেঁধে নামলেন কেসি আর। আরও পড়ুন-কাল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন, মুখোমুখি বিজেপি-শিবসেনা
দেখুন টুইট
অনেকেই বলছেন, কর্ণাটকের দক্ষিণের দ্বিতীয় রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে তেলঙ্গনাকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। তাই দেশের সব জায়গায় বাদ দিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকের জায়গা হিসেবে কেসি আর-এর তেলঙ্গনাকে বেছে নিয়েছে পদ্ম শিবির। কেসি আর-এর মন্ত্রীদের ওপর কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের চাপাও বাড়ানো হচ্ছে। এমন সময় কেসি আর মমতার জোটে এসে মোদীকে হারাতে নামছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেখুন যশবন্ত সিনহা-র সমর্থনে কেসি আর
অথচ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাছতে মমতার চিঠি পেয়েও তাতে সাড়ে দেননি কেসি আর। কারণ মমতাদের জোটে আছে কংগ্রেস। খাতায় কমলে এখনও তেলঙ্গনায় টিআরএস-এর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন করা কঠিন ছিল কেসিআর-এর পক্ষে। কিন্তু তেলঙ্গানায় গেরুয়া পতাকার সংখ্যা বাড়তেই চাপ সামলে বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছেন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী।