Tamilnadu: লড়াই শেষ, বাঁচানো গেলো না সুজিত উইলসনকে; ৩ দিন পর ১০০ ফুট গর্ত থেকে পচাগলা মরদেহ উদ্ধার

টানা তিনদিনের লড়াইয়ের পর এলো না খুশির খবর। ২৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার নাডুকাট্টুপাত্তিতে (Nadukattupatti) খেলতে খেলতে ২৫ ফুট গর্তে পরে যাওয়া বাচ্চাটিকে উদ্ধার করতে সমস্ত প্রয়াস করা হয়। কিন্তু শত চেষ্টার পরও বাঁচানো গেলো না ছোট্ট সুজিতকে। অবশেষে দেহটি ১০০ ফুট গর্তে ঢুকে গেলে, উদ্ধারকারীরা মাটি খুঁড়ে সুজিতের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে।

সুজিত উইলসনের মরদেহ উদ্ধার (Photo Credits: ANI)

চেন্নাই, ২৯ অক্টোবর: Sujith Wilson Found Dead: টানা তিনদিনের লড়াইয়ের পর এলো না খুশির খবর। ২৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার নাডুকাট্টুপাত্তিতে (Nadukattupatti) খেলতে খেলতে ২৫ ফুট গর্তে পরে যাওয়া বাচ্চাটিকে উদ্ধার করতে সমস্ত প্রয়াস করা হয়। কিন্তু শত চেষ্টার পরও বাঁচানো গেলো না ছোট্ট সুজিতকে। অবশেষে দেহটি ১০০ ফুট গর্তে ঢুকে গেলে, উদ্ধারকারীরা মাটি খুঁড়ে সুজিতের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে।

সবার মনে টিমটিম করে জ্বলছিল সুজিতের বেঁচে থাকার আশার আলো। কিন্তু কোনো চমৎকারই কাজ করল না। মঙ্গলবার দেহটি উদ্ধার করে অটোপসির জন্য প্রথমে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর এরপর সেখান থেকে তার বাড়ি নাডুকাট্টুপাত্তিতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। পুদুরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সোমবার রাতে ওই গর্ত থেকে পাওয়া পচা গন্ধ পেয়ে সুজিতের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। আরও পড়ুন, ছোট্ট সুজিত উইলসনের জন্য প্রার্থনা নরেন্দ্র মোদি- সহ দেশবাসীর, ৭২ ঘন্টা পর এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

উদ্ধারকর্মীরা আরও জানান সুজিতের কান্নার আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধারকর্মীরা জানান তারা অক্সিজেন পাম্প করে গর্তের ভিতরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। নিঃস্বাসও নিচ্ছিল সে। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয়াভাস্কর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ঘটনাটির তদারকি করেন। তাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়।

গত রবিবার সুজিতকে মেশিন দিয়ে টেনে বের করার চেষ্টাও তারা করেছিলেন, কিন্তু এমনভাবেই সে আটকে ছিল তাও সম্ভব হয়নি। খেলতে খেলতে গভীর নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তে (Borewell) পড়ে যায় ২ বছরের ছোট্ট শিশু সুজিত উইলসন (Sujith Wilson)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি (Tiruchirappalli) জেলার নাডুকাট্টুপাত্তিতে ঘটনাটি ঘটে। একটি বোরিং মেশিন নিয়ে আসা আসা হয়েছিল। শনিবার থেকে সারা দিনরাত উদ্ধারকাজ চলেছে। যৌথ ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করেছে।