Shraddha Walker Murder: প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের পর দেহ টুকরো করতে কী করে আফতাব, চমকে উঠবেন শুনলে

সূত্রের খবর, শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের পর আফতাবকে গ্রেফতার করা হলে তার ব্যবহারে তেমন কোনও পরিবর্তন চোখে পড়েনি পুলিশের। ফলে খুনের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আনতে আফতাবের যেমন পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজন, তেমনি নারকো টেস্টও প্রয়োজনীয়।

Shraddha Walker (Photo Credit: Instagram)

দিল্লি, ২৪ নভেম্বর: প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরের (Shraddha Walker) মৃতদেহ টুকরো করতে একটির বেশি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহাংশ টুকরো করতে আফতাব কী কী ব্যবহার করে, বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা দেশ ফের চমকে ওঠে। জানা যায়, শ্রদ্ধাকে খুনের পর মৃতদেহ খণ্ডিত করতে বড় বড় ৫টি ছুরি ব্যবহার করে আফতাব। আফতাবের ঘর থেকে ৫টি ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার আফতাব পুনাওয়ালার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়। সেখানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে প্রকাশ, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আজ আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala) একেবারে স্বাভাবিক ছিল। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় আফতাব ধীর, স্থির ছিল বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত বুধবারই আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের কথা ছিল। তবে গতকাল আফতাব সুস্থবোধ না করায়, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। পলিগ্রাফের পর আফতাবের নারকো টেস্টও করা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন:  Shradha Walker: 'খুন করে টুকরো টুকরো করতে পারে আফতাব', পুলিশকে চিঠি শ্রদ্ধার

সূত্রের খবর, শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের পর আফতাবকে গ্রেফতার করা হলে তার ব্যবহারে তেমন কোনও পরিবর্তন চোখে পড়েনি পুলিশের। ফলে খুনের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আনতে আফতাবের যেমন পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজন, তেমনি নারকো টেস্টও প্রয়োজনীয়। পুলিশি হেফাজত শেষ হলেও, আপতাবের নারকো টেস্ট জেল হেফাজতে থাকার সময় হবে বলেও জানা যায়।

আফতাব কি হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) বেড়াতে গিয়েই শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল? নাকি হিমাচল থেকে ফিরে দিল্লিতে (Delhi) ফ্ল্যাট নেওয়ার পর, মেহেরৌলি জঙ্গল কাছে বলে ঘরের মধ্যেই বান্ধবীকে খুনের পরিকল্পনা করে আফতাব! গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় আফতাব পুনাওয়ালার। বিবাদের মাঝে শ্রদ্ধার বুকের উপর বসে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে ভরে রাখে আফতাব পুনাওয়ালা। এরপর প্রতিরাতে ফ্রিজ থেকে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো বের করে, মেহেরৌলি জঙ্গেলের বিভিন্ন জায়গায় আফতাব তা ছড়িয়ে দিয়ে আসতে শুরু করে বলে তদন্তে উঠে আসে পুলিশের। শুধু তাই নয়, ফ্রিজের মধ্যে শ্রদ্ধার দেহাংশ থাকার সময়, তার সামনেই আফতাব একাধিক মহিলা সঙ্গীর সঙ্গে সহবাস করে বলেও পুলিশি তদন্তে উঠে আসে। যা শুনে কার্যত চমকে উঠতে শুরু করে গোটা দেশ।